কলকাতা: জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education ) অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় চার্জশিট(chargesheet) পেশ করল ইডি (Enforcement Directorate)। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফের মানিকের জেল হেফাজত চায় আদালতে।
বুধবার আদালতে মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, ৫৭ দিন ধরে আমার মক্কেল জেল হেফাজতে রয়েছেন। ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) বারবারই বলছে. আরও তদন্ত দরকার। আরও জেরার দরকার। তা হলে এতদিন ধরে তারা কী তদন্ত করল। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর ফের তদন্ত করতে হলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হয়। সিবিআই মূল মামলা করেছে। তারই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তা হলে ইডি কী করে চার্জশিট দেয়। এখানে ইডি লাফিয়ে পড়ে তদন্ত করছে। এর কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।
মানিকের আইনজীবী আদালতে বলেন, আমরা সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) গিয়েছি। বাড়ির কাজের লোক বাদে সবাই ইডির কাছে হাজিরা দিয়েছে। তাই অসহযোগিতার কোনও প্রশ্নই আসে না। তা ছাড়া প্রভাবশালী তত্ত্বেরও কোনও সারবত্তা নেই। ইডির তদন্ত মানেই দু’শো প্রশ্নের লিখিত উত্তর। তিন মাস ধরে চলছে এই পর্ব। ইডি এক এক দিন এক এক অঙ্কের টাকার গল্প বলছে। তা ক্রমশ বেড়ে চলছে।
আরও পড়ুন: মেডিক্যালে জটিলতা বাড়ল, কী কারণে জেনে নিন
ইডির তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ না দিলেও ৬৬ (২) ধারায় ইডির তদন্ত করার ক্ষমতা আছে। মানিকের ছেলে, স্ত্রী এবং তাপস মণ্ডলকে অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে। তাপস বোআইনিভাবে বিএড কলেজগুলি (BED) থেকে টাকা তুলতেন। আইনজীবীর দাবি, মানিকের পরিবারের ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (bank account) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত সমস্ত অর্থের পরিমাণ ৭.৯ কোটি টাকা। স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে পরিমাণ প্রায় ২৯ কোটি টাকা। মানিক যে ধরনের অপরাধ করেছেন, তাতে কখনওই তিনি জামিন পেতে পারেন না। এখন পর্যন্ত ৫৯৫২টি (5952) নথি উদ্ধার করা হয়েছে। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত