ইডির নজরে এল এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের (manik bhattacharjee) ছোট ভাই, জামাই এবং জামাইয়ের বাবার নাম। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি অভিযোগ করেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টেও বেআইনিভাবে বহু টাকা ঢুকেছে। এর আগে ইডি দাবি করেছিল, মানিকের ছেলে এবং স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে। তা বেআইনিভাবে পাওয়া টাকা। তিনি জানান, মানিককে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। তাই আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজত চাই। এদিন আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
মানিকের আইনজীবী(lawyer) সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতে প্রশ্ন তোলেন, আর কতদিন ধরে তদন্ত চলবে। এই প্রসঙ্গেই তিনি মনে করিয়ে দেন সারদা কেলেঙ্কারির কথা। সঞ্জয় বলেন, সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসে ২০১৩ সালে। তারপর থেকে তার তদন্ত চলছে এখনও। তদন্তকারী সংস্থা প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বার করুক। যাঁদের ধরা হয়েছে, তাঁদের সকলের বয়স ৭৫-এর বেশি। তাঁর দাবি, দ্রুত চার্জশিট পেশ করুক তদন্তকারী সংস্থা। আরও জিজ্ঞাসাবাদের দরকার আছে বলে বারবার জেল হেফাজত চাওয়া হচ্ছে। সঞ্জয় বলেন, সব সময় দেখি, তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের শেষ লাইনে লেখা থাকে, আরও তদন্ত প্রয়োজন। এটা বন্ধ করা দরকার। তদন্ত দিনের পর দিন চলতে পারে না। সিবিআই আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করেনি।
আরও পড়ুন: High Court: আদালতে জয় পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা
সঞ্জয়ের আরও দাবি, দুই সংস্থা একসঙ্গে তদন্ত করতে পারে না। মূল যে সংস্থা তদন্ত করছে, তার রিপোর্ট এখনও আদালতে জমা পড়েনি। তিনি বলেন, আমার মক্কেলকে ইডির হেফাজতে নেওয়ার আবেদন আইনের চোখে গ্রহণযোগ্য নয়। ইডি টাকার অঙ্ক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়াচ্ছে। কিন্তু কোনও নথি দেখাতে পারছে না। ২০ কোটির হিসেব কোথা থেকে পেল ইডি, জানতে চান সঞ্জয়।
ইডির (ed) আইনজীবী জানান, কেস ডায়েরিতে ২০ কোটি টাকার কথা আছে। সেখানে বহু সংস্থার নাম আছে, যাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। ইডি ২০ পাতার একটি তালিকাও দেখায় এদিন আদালতে। তা নিয়ে আপত্তি তোলেন সঞ্জয়।