কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে মোটা টাকার লেনদেন নিয়ে ইডিকে তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বুধবার থেকেই ইডিকে তদন্ত শুরু করতে বললেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সাদা ওএমআর শিটে চাকরি হয়েছে। সেই শিট বিকৃত করা হয়েছে। তার আড়ালে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকার উৎস খুঁজতে ইডি তদন্ত করবে।
এর আগে আদালতের নির্দেশেই মামলাকারী, সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। একশো ওএমআর শিটের বিকৃতি খতিয়ে দেখে মামলাকারী রিপোর্ট পেশ করেন আদালতে। সূত্রের খবর, কমিশনও ওএমআর শিটের বিকৃতির অভিযোগ মেনে নিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, ওই একশো বিকৃত শিট কমিশনের ওয়েবসাইটে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live: গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিচারপতি জানতে চান, ওএমআর শিটে শূন্য থেকে কোন রহস্যে নম্বর বেড়ে ৪৩ হয়ে গেল। তিনি ব্যঙ্গের ছলে বলেন, সর্বোচ্চ নম্বর ৪৫, তাই একটু কম করে ৪৩ করা হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদোস সামিম জানান, নবম-দশমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নম্বর ৫৫। সেখানে দেওয়া হয়েছে ৫৩। বিচারপতি বলেন, লাল, নীল, সবুজ, হলুদ সব নদী গিয়ে সাগরে পড়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জানুয়ারি।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, তাদের রিপোর্ট কমিশনের রিপোর্টের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। অনেকে চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন। এরই মধ্যে সিবিআই আইনজীবী আরও জানান, কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ভাগ্নের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিনই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ সুবীরেশের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছে, জামিনের কথা আমরা এক বছর পরে ভাবব।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সুবীরেশ সব ষড়যন্ত্রকারীর নাম বলেছে বলে আদালত মনে করে। কমিশনের আইনজীবী জানান, যিনি ওই কেলেঙ্কারির সময় চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁর এই অনিয়মের কথা না মেনে উপায় নেই।