গড়বেতা: গত বছর আলু চাষে লাভের মুখ দেখেছিলেন চাষীরা (Farmers) । গত বছর আলুর (Potato) দাম চড়া ছিল। অনেকে ধার-দেনা করে এবছর লাভের আশায় আলু লাগিয়েছেন। কিন্তু, সেই ফসল (Crop) অবাঞ্ছিত হাতির উপদ্রবে নষ্ট হচ্ছে। এবং নিঃসহায় হয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ঠিক এরকমই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর (Pascim Medinipur) জেলার গড়বেতার (Garhbeta) রপনারায়ণ ডিভিশন (Rupnarayan Division) এলাকার চাষীদে্র। ক্ষোভে শনিবার জাতীয় সড়ক (National Highway) অবরোধ (Blocked) করলেন তাঁরা। চাষীদের (Farmers) অভিযোগ, বন দফতর (Forest Department) দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিনের বেশি সময় ধরে একটি হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রূপনারায়ণ ডিভিশনে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ওই তিন দিনে কয়েকশো বিঘা (Bigha) আলু চাষের জমি (Land) নষ্ট (Destroy) করেছে হাতির দলটি। তাছাড়া বাড়ি ভাঙচুর করা, গবাদি পশু (Cattle) মেরে ফেলেছে। শনিবার সকাল থেকে এই অবরোধ চলে। যার জেরে গড়বেতার ধাদিকা (Dhadika) এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে (National Highway) শুরু হয়েছে তীব্র যানজট (Jam)। এদিন সকালে গড়বেতার ধাদিকা (Dhadika) এলাকায় আলুর জমিতে ৪০টির বেশি হাতি তাণ্ডব চালিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। সারা রাত ধরে সেই হাতির (Elephant) পালকে আলু জমি থেকে তাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন কৃষক ও হুলা পার্টির সদস্যরা। সকালে দেখা যায় নতুন করে কয়েকশো বিঘা আলুর জমির তছনছ হয়ে গিয়েছে। হাতির পালও এলাকা ছাড়েনি। গ্রামবাসীর দাবি, বন দফতর কৃষকদের এই বিপদ থেকে উদ্ধারের উদ্যোগ (Initiative) নেয়নি।
আরও পড়ুন: Weather: তাপমাত্রা বাড়লেও শীত বজায় থাকছে, আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানুন
শুক্রবার রাতেও গড়বেতা এক নম্বর ব্লকের খড়কাটা এলাকায় হাতির তাণ্ডবে গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছিল। তিনটে মাটির বাড়ি ভেঙে নষ্ট করা হয়। একরাতেই প্রায় দেড়শ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছিল ওই হাতির পাল।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে নাগরাকাটা ব্লকের (Nagrakata Block) বামনডাঙ্গা (Bamandanga) চাবাগানের ডায়না লাইনে বুনো হাতির হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হল টন্ডু টিজি তিন নম্বর প্রাইমারি স্কুল। জানা গিয়েছে, মিড ডে মিলের ঘরে খাবারের লোভে পার্শ্ববর্তী ডায়না জঙ্গল (Forest) থেকে রাত ১২ টা নাগাদ একটি বুনো দাঁতাল বেরিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। স্কুলের প্রতিটি দরজা, গ্রিলের জানালা ভেঙে দেয় হাতিটি। গ্রামবাসীরা হাতিটিকে তাড়িয়ে রাত দুটো নাগাদ ফের জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।