বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকে (Karnataka) জয়ের পরে খুশিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন সেখানকার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবাকুমার (DK Shivakumar)। তিনি বলেন, কঠোর পরিশ্রম করেছি। মানুষ আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছেন। সবার নেতৃত্বে এটা হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) আমাকে জেলে দেখতে এসেছিলেন। তাতে আমি আস্থা পেয়েছিলাম। এই জয় কংগ্রেসের সব কর্মীর জয়। কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার ক্যাডারদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। বিজেপি (BJP) আমাকে জেলে ভরার পর সোনিয়া গান্ধী দেখতে এসেছিলেন তা আমি ভুলতে পারি না। আমি গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেস সভাপতিকে কথা দিয়েছিলাম কর্ণাটক উপহার দেব। কর্ণাটকের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমর্থন দেওয়ার জন্য।
কর্ণাটকে এই জয়ের পর এখন প্রশ্ন কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিদ্ধারামাইয়ার ছেলে জানিয়েছেন তাঁর বাবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। তার ভিত্তিতে ডিকে শিবাকুমার অবশ্য জানিয়েছেন, সেটা উচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) বলেন, আমরা প্রার্থীদের এই বিষয়টি জানাব। এবার কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এদিন সন্ধ্যায় মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে সিদ্ধারামাইয়া ও ডিকেশিবাকুমার একসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বলেন, কংগ্রেসের জয় নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির প্রতি মানুষের অনাস্থা। লোকসভা ভোটের (Loksva Vote) আগে এটা বিরোধী দলকে (Oppostition) উজ্জীবিত করবে।
কর্নাটকের (Karnataka) এই জয়কে ঐতিহাসিক (Historical) বলে দাবি করছেন কংগ্রেসের প্রায় সব নেতাই। রাহুল গান্ধী বলেছেন, এই জয় ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালোবাসার জয়। এই মডেলেই এখন সব রাজ্য চলবে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, এখন আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, এই জয় ঐতিহাসিক। এর ফল হবে সুদূরপ্রসারী। সারা ভারতে এর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: Karnataka Assembly Election Result | লোকসভা ভোটের মুখে কর্নাটকের জয় কংগ্রেসকে অক্সিজেন যোগাল
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেসের এই জয়ের প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। আর এক বছর পরেই লোকসভার ভোট। সেই ভোটের মুখে কর্নাটকের নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি কংগ্রেসকে অনেকটাই ডিভিডেন্ড দেবে। বিশেষ করে বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে বিরোধী দলগুলির মধ্যে নানা মত রয়েছে। তৃণমূল, ডিএমকে, জেডিইউয়ের মতো একাধিক আঞ্চলিক দল চায় না, বিরোধী জোটের ব্যাটন কংগ্রেসের হাতে থাকুক। তৃণমূল তো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেসের দাদাগিরি তারা মানবে না।