রামপুরহাট: বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে (Bogtui Villege) গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পুলিসকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee at Bogtui)৷ তারপরেও বেপরোয়া অভিযুক্তরা (Rampurhat Violence)৷ গ্রামবাসীদের ক্রমাগত ফোনে হুমকি দিচ্ছে তারা৷ তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারগুলো৷ দেরি না করে নিরাপত্তা চেয়ে তাই পুলিসের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা৷ অভিযোগ, তাঁর সন্তানদের খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ ফোনের ওপার থেকে বলা হচ্ছে, জামিনে ছাড়া পেলেই যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের সবাইকে শেষ করে দেওয়া হবে৷
সোমবারের নারকীয় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই মহিলার দুই ছেলে-মেয়ে৷ শুক্রবার থানার বাইরে দুই সন্তানের মা বলেন, ‘আতঙ্কে আছি৷ সেই জন্য অভিযোগ করছি৷ নিরাপত্তা চাইতে পুলিসের কাছে এলাম৷ আজকে হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ বলেছে, ছাড়া পেলে আমাদের যে ক’টা বেঁচে আছে সবাইকে শেষ করে দেবে৷’ প্রশ্ন করা হয়, কে বা কারা কী কারণে ফোনে হুমকি দিচ্ছে? জবাবে ওই মহিলা বলেন, ‘সবাই আমাদের সাহায্য করছে৷ তাই মুখ খুলতে বারণ করছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন৷ কিন্তু ভয় হচ্ছে৷ তাই থানায় অভিযোগ জমা দিয়ে গেলাম৷ পুলিস বলল যাবে৷’ সেদিনের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলার মা মীনা বিবি৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো বগটুই গ্রামে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিস৷ দিন ও রাত মিলিয়ে দু’দফায় ৫৪ জন করে পুলিসকর্মী গ্রামের নিরাপত্তায় থাকবেন৷ তাঁদের নেতৃত্বে থাকবেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক৷ গ্রাম ছেড়ে যাঁরা চলে গিয়েছেন পুলিসের তরফে তাঁদের ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ বৃহস্পতিবারই গ্রামে টহল দেন ডিজি মনোজ মালব্য৷ মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে যাওয়া এবং সেখানে পুলিসি বন্দোবস্ত দেখে কিছুটা হলেও বল ফিরে পান গ্রামবাসীরা৷ কিন্তু সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হল না৷ অভিযোগ, মুখ খোলায় ভাদু সেখের লোকজন ওই পরিবারগুলোকে হুমকি দিচ্ছে৷