কলকাতা: সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের (Central Avenue) বহুতলে সরকারি দফতরে ভয়াবহ আগুন (Fire Incident)। ঘটনাস্থলে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন। সকাল ১০ টা নাগাদ আগুন আগে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি বহুতলে। ওই ভবনে বেশ কয়েকটি সরকারি দফতরের অফিস আছে বলে জানা গিয়েছে। অফিস ভিতরে আপাতত কেউ নেই বলেই জানা যাচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোক কাজ করছে দমকলবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৪৫ নম্বর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বহুতলে সরকারি দফতর রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ বিল্ডিংয়ের ছয় তলা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। জানলা দিয়ে দেখা যায় আগুনের শিখাও। গোটা এলাকা গ্রাস করেছে কালো ধোঁয়ায়। এই ঘটনায় আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন। ওই বহুতল লাগোয়া এলাকায় পরপর বাড়ি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক ঘণ্টাও বেশি সময় ধরে জ্বলছে আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত আগুনে কেউ হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে তারা। রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Dhupguri Nurse | ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ধূপগুড়ির কমিউনিটি হেলথ অফিসার অবিস্মিতা
কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে দমকলকর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। ভিতরে রয়েছে প্রচুর দাহ্য পদার্থ। এছাড়া আগুনের জেরে ভিতরে চাঙড় ভেঙে পড়ছে বলেও জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। পিএইই, পিডব্লুডি সহ একাধিক দফতরের অফিস রয়েছে ওই বিল্ডিং-এ। পাঁচতলার যে ঘরে ঠাসা রয়েছে নথিপত্র, সেখানেও দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আগুনের জেরে বহু জরুরি নথিপত্রের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহুতলের পাশেই রয়েছে কালিদাস মল্লিক সেবায়তন নামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হলেও দমকল জানিয়েছে নতুন করে আর আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
বহুতলে জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি,পরিবহণ-সহ একাধিক সরকারি দফতরের অফিস রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের অফিসটিই। ঘটনাস্থলে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, পুরনো ভবন বলে এখানকার প্রবেশপথ খুবই সরু হওয়ায় দমকলের কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে। ১১টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে।
উল্লেখ্য, মে মাসের মাঝামাঝি রাজভবনের পাশে শরাফ হাউসে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছাদের ক্যান্টিন থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বাড়িতে। পরের পর এসি বিস্ফোরণে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। সেই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল একজনের। পরের দিন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন দমকল কর্মীরা।