অসম: গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্যা (Flood) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে (Assam)। প্লাবনের জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অসমের ৩৫ হাজারেও বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১টি জেলা। ব্রহ্মপুত্র নদ এবং আরও কয়েকটি নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। তবে এখনও জলস্তর বিপদসীমা পার করেনি বলে জানা গিয়েছে সেখানকার প্রশাসন সূত্রে। গত বছরও ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অসমে। সে বার দুর্ভোগে পড়েছিলেন বহু মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছিল একাধিক।
অসমের প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ২৯ হাজার বাসিন্দা। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে বন্যা কবলিত হয়েছে ধেমাজি, লখিমপুর এবং ডিব্রুগড় এলাকা। সেই সঙ্গেই কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলার কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: Cyclone Biparjoy | ঘূর্ণিঝড়ে ১ হাজার গ্রাম বিদ্যুৎহীন, ‘বিপর্যয়’ এগোচ্ছে রাজস্থানে
বন্যা পরিস্থিতিতে ১১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে লখিমপুরে। উদালগুড়িতে ২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। অসমে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ৭৭টি গ্রাম মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ২০৯.৬৭ হেক্টর জমির। দিমা হাসাও এবং কামরূপ জেলায় ভারী বৃষ্টির কারণে ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে।
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লখিমপুর জেলায়। সেখানে প্রায় ২৩ হাজার ৫০০ জন বন্যা কবলিত হয়েছে। এছাড়াও ডিব্রুগড় এলাকায় প্রায় ৩৮০০ জন এবং ধেমাজির প্রায় ১৫০০ জন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। প্রাথমিক হিসাবে, লখিমপুর জেলার ২৫ টি গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।