রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই এবার ফ্রান্স ও ইরানের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। ইরানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারী তরুণী মাসহা আমিনির মৃত্যু ঘিরে এখনও প্রতিবাদ চলছে বিভিন্ন দেশে। এর তীব্র নিন্দা করেছে ফ্রান্স। তারই মধ্যে দুজন ফরাসি নাগরিকের গুপ্তচরবৃত্তির স্বীকারোক্তির ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা। যে ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কের পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। মে মাস থেকে বন্দি ওই দুই ফরাসি নাগরিককে ফ্রান্স ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও তাতে এখনও পর্যন্ত কর্ণপাত করেনি ইরান। এবার ফ্রান্স তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইরান ছাড়তে বলল। যত শীঘ্র সম্ভব পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। আর তাতেই অশনি সংকেত দেখতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে কি কোনও চরম পদক্ষেপের দিকে হাঁটতে পারে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ফ্রান্স ? যদিও সেরকম কোনও ইঙ্গিত দেয়নি তারা। তবে নির্বিচারে ইরানে তাঁদের নাগরিকদের আটক করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।
আরও পড়ুন FIR against Laluprasad: সিবিআইয়ের চার্জশিট, লালুর সমর্থনে এগিয়ে এলেন নীতীশ
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে শনিবার জানা গিয়েছে, শুক্রবার ফ্রান্সের বিদেশ মন্ত্রকের (Foreign Ministry) তরফে তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, কোনও ফ্রান্সের পর্যটক, এমনকী দুদেশের নাগরিকত্ব (Dual National) রয়েছে, এমন যে কেউ যে কোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন ইরানে। বিনা বিচারে তাঁদের আটকে রাখা হতে পারে। তাঁদের সঙ্গে অবিচারও করা হতে পারে। সেখানে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ন্যূনতম মানবাধিকার পর্যন্ত রক্ষা করাও নাও হতে পারে। সেজন্য অবিলম্বে ওই দেশ ছেড়ে দিক তাঁরা। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে এই সপ্তাহে ইরানের কর্তৃত্ববাদী ভূমিকা নিয়ে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ইরানের চরম নিন্দা করা হয়েছে।