লুধিয়ানা: পঞ্জাবের লুধিয়ানার একটি কারখানায় গ্যাস লিকেজের (Gas Leakage) ঘটনার পর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১১ জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। নিহতদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। ওই স্থানে এখনও বেশ কিছু জন আটকে পড়ে রয়েছে বলে সূত্রে খবর। ঘটনাটি ঘটে লুধিয়ানার (Ludhiana) শেরপুর চকের কাছে সুয়া রোডে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
লুধিয়ানার যে অঞ্চলে এই কারখানাটি অবস্থিত, সেখানে প্রচুর মানুষের বসবাস। স্থানীয়দেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে সেই এলাকার বহু বাসিন্দাও এই গ্যাস লিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রে খবর, যে কারখানায় গ্যাস লিক হয়েছে সেখানে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কারখানার ‘কুলিং সিস্টেম’ থেকে এই গ্যাস লিক হয়েছে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে গ্যাস লিকের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। গ্যাস লিকের কারণে কারখানায় থাকা কর্মীদের অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেতেই দ্রুত সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। সঙ্গে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশকর্মীরাও মুখে রুমাল বেঁধে সেখানে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: Elon Mask | Twiiter | New Rules | ফের বিতর্কে টুইটার, নতুন নিয়ম নিয়ে হাজির মাস্ক
লুধিয়ানার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাতি টিওয়ানা জানিয়েছেন, ‘গ্যাস লিকের কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।’ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কারখানার ৩০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেসব বাড়ি রয়েছে তাঁদের নিশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে লুধিয়ানার বাসিন্দাদের ওই এলাকায় যেতে বারণ করা হয়েছে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান টুইট করে জানিয়েছেন, “লুধিয়ানার গিয়াসপুরা (Giaspura) এলাকায় কারখানায় গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাস্থলে পুলিশ, প্রশাসন এবং এনডিআরএফ দল উপস্থিত রয়েছে। সেখানে সবরকমভাবে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
 ঘটনার পর ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১১ জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। নিহতদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। ওই স্থানে এখনও বেশ কিছু জন আটকে পড়ে রয়েছে বলে সূত্রে খবর। ঘটনাটি ঘটে লুধিয়ানার (Ludhiana) শেরপুর চকের কাছে সুয়া রোডে){kind=link}