নয়াদিল্লি: এক যুবতীর গর্ভপাত মামলায় শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল গুজরাত হাইকোর্টকে (Gujarat High Court)। এই ধরনের স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে দ্রুত শুনানির জায়গায় তা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্তা ওই মহিলা ২৭ সপ্তাহ পর গর্ভপাত করতে চেয়ে মামলা করেন গুজরাত হাইকোর্টে। সেখানে বিচার না পেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালত শনিবার ছুটির দিনেও বিশেষ শুনানির আয়োজন করে ওই মামলায়। গুজরাত হাইকোর্টের সমালোচনা করে বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের নেতৃত্বের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রবিবারই নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার সাম্প্রতিক রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালত সূত্রের খবর, ১১ অগাস্ট গুজরাত হাইকোর্টে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা করেছিলেন নির্যাতিতার আইনজীবী। ওই দিন কোনও শুনানি না করেই বিচারপতি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে ২৩ অগাস্ট। এই ধরনের স্পর্শকাতর মামলার শুনানি স্থগিত রাখায় এদিন বিরক্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। শী্র্ষ আদালত বলে, এই ধরনের ক্ষেত্রে আদালতকে বিষয়টি গুরুত্ব বুঝতে হবে। আর পাঁচটা মামলার মতো এই মামলার শুনানি এভাবে স্থগিত রাখা যায় না।
আরও পড়ুন: যৌন মিলনে বাধা, তরুণীকে স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাত, গ্রেফতার যুবক
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, গর্ভাবস্থায় প্রতিটি দিনই যে গুরুত্বপূর্ণ, তা হয়তো ভুলে গিয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে তারা কোনও নির্দেশ জারি করেনি। আমরা চাই, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়ুক।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে দিল্লি হাইকোর্ট ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকাকে ২৬ সপ্তাহ পর গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল, এই বয়সে মাতৃত্বের দায় নিতে হলে নাবালিকার দুঃখ এবং যন্ত্রণা আরও বেড়ে যাবে।