কলকাতা: তাঁতশিল্পীদের (Handloom) জন্য রাজ্য সরকার এবার অনলাইন পোর্টাল (Online Portal) খুলছে। বর্তমান সময়ে প্রায় সবকিছুই অনলাইনে হ্য়। কোভিড পরবর্তী সময়ে বেচাকেনার জন্য অনলাইন পোর্টালগুলির উপর নির্ভরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই তাঁতশিল্পীদের বিক্রি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।
খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বাংলার হস্তচালিত তাঁতশিল্প ও পাওয়ারলুম নিয়ে একটি বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডে সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন : Durer Palla Cholche Tori: ‘দূরের পাল্লা’ কবিতার সঙ্গীত সংস্করণ ‘চলছে তরী’
সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, হস্তচালিত তাঁতশিল্পিদের জন্য একটি পোর্টাল আনবে রাজ্য সরাকর (State government) । পোর্টালটিতে তাঁতশিল্পীদের পাশাপাশি ক্রেতারাও থাকবেন। যাতে করে ক্রেতারা সরাসরি ইচ্ছুক বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এর ফলে মিডলম্যানদের উপদ্রপ কমবে ও তাঁতিরা সরাসরি লাভের অঙ্ক পাবেন।
উল্লেখ, কুটির শিল্প হিসেবে বাংলার তাঁতশিল্প (Handloom) বহু পুরনো। ব্রিটিশরা এদেশে রাজত্ব কায়েম করার আগে থেকেই বাণিজ্যে বিশেষ স্থান ছিল তাঁতশিল্প। কিন্তু ইংরেজরা ভারতে তাঁদের দেশের তৈরি পোশাক-আশাকের বাজার তৈরির জন্য বিভিন্ন অপকৌশলের সাহায্য নিয়েছিল, তাতেই বাজার হারায় দেশের অন্যতম প্রাচীন শিল্প হিসেবে পরিচিত তাঁতশিল্প। স্বাধীনতার পরে তাঁতশিল্পিদের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছিল যে এই শিল্পকে আগের মতো অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হয়নি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রুচি বদলেছে, পাশাপাশি বদলেছে মানুষের পোশাকের চাহিদাও। দেশি-বিদেশি আধুনিক পোশাকের চাহিদার বাজারে সনাতনী তাঁতিদের শিল্প আজ কোণঠাসা। ক্রেতা থাকলেও, তা হাতে গোনা।তবে এখনও অনেক তাঁতশিল্পি পুরনো প্রথাকে বাঁচিয়ে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং তাঁতিদের আয় সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সকারের এই অভিনব উদ্যোগ তাঁতিদের সুদিন ফেরাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।