কলকাতা: হাইকোর্টের (High Court) সঙ্গে উপরচালাকি করছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলা পুলিশ। এমনই মন্তব্য করে হলদিয়ার এসডিপিও (Haldia)-কে তীব্র ভর্তসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । হাইকোর্টকে অন্ধকারে রেখে পুলিশ (Police) কেন পদক্ষেপ করবে? এসডিপিওকে এজলাসে কড়া ধমক বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা’র। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা এসডিপিওকে বলেন, একজন পুলিশ অফিসারের (Police Officer) আগে আপনি একজন দেশের নাগরিক। সাংবিধানিক অধিকার সব নাগরিকের সমান। তাহলে এসডিপিও সেই সাংবিধানিক অধিকার কথা ভুলে যাবেন কেন! মামলা আদালতের বিচারাধীন। আদালতকে লুকিয়ে মামলাকারীর বিরুদ্ধে লুকিয়ে পদক্ষেপ কেন! হাইকোর্টের সঙ্গে চালাকি করছেন?
এদিকে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় করা পুরনো এফআইআর (FIR) স্থগিত করে দিল হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ভবানীপুর থানা নতুন এফআইআর করলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে নুা। নিম্ন আদালতে শ্যামলের হাজিরার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট।হাইকোর্টের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনে শুধু তদন্ত চালাতে পারবে পুলিশ। সপ্তাহে দুদিন দুঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুতাহাটা থানার একটি মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে্, হাইকোর্টে মামলা চলাকালীনই ভবানীপুর থানার পুলিশ গত ২৩ নভেম্বর শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন।
আরও পড়ুন: Paramedical Student : নদিয়ায় মধ্যরাতে কুপিয়ে খুন প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়াকে
এদিন হাইকোর্টে ডেকে পাঠানো হয় এসডিপিও রাহুল পাণ্ডেকে। বিচারপতি মান্থা তাঁকে এজলাসেই রীতিমতো ভর্তসনা করেন। উল্লেখ্য, শ্যামল আদক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। যদিও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন।