কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার। শুক্রবার সকাল থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় ইডি গ্রেফতার করে হুগলির দাপুটে নেতা শান্তনুকে। ইডির তলব পেয়ে এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন হুগলির জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ্য শান্তনু। সাত ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলে শান্তনুকে।
সূত্রের খবর, এদিন তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত নানা তথ্য চেয়ে পাঠায় ইডি। এর আগেও তাঁকে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশির দিনই শান্তনুর হুগলির বাড়িতেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে শান্তনুর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। শান্তনুর বাড়ি থেকে যে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছিল, তার থেকে সাতজন নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে ইডি।
আরও পড়ুন: Group-C Recruitment Scam | গ্রুপ-সির ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল আদালতের নির্দেশে
চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা কেমন করে শান্তনুর কাছে এল, তা জানতে চায় ইডি। সেই তালিকা থেকে কেমন করে চাকরি দেওয়া হল, তাও জানার চেষ্টা করছে ইডি। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের নাম কেনই বা শান্তনুর বাড়িতে রয়েছে, তাও জানতে চান ইডি আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রের খবর, শান্তনুর বয়ানে একাধিক অসংগতি পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, শাসকদলের এই যুবনেতা বহু তথ্য গোপন করে যাচ্ছেন। শান্তনুর দেওয়া বয়ান দিল্লির সদর দফতরে পাঠানো হয়। দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত মিলতেই সন্ধ্যায় শান্তনুকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির আর এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তিনি শান্তনু সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছিলেন। যদিও ইডির অফিসারেরা এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁরা মনে করছেন, দু’জন একে অপরকে ভালো মতোই চেনেন। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে দু’জনেরই সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।
জানুয়ারি মাসে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ প্রার্থীর নামের তালিকা এবং বেশ কিছু ইলেকট্রনিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সেই বিষয়ে তাঁকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।