রোয়ান্ডা: গণহত্যায় (Genoside) মানুষের জীবন বাঁচিয়ে তিনি হিরো হয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে সিনেমাও হয়েছে। রোয়ান্ডা সরকারের (Rwandan government) সমালোচক রুসেসাবাগিনা (Paul Rusesabagina) অবশেষে জেল থেকে ছাড়া পেলেন। ১৯৯৪ সালে গণহত্যার সময় অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। হিট হলিউড সিনেমা (Hollywood Movie) হোটেল রোয়েন্ডায় (Hotel Rowanda) তা দেখানো হয়েছে। ৯৩৯ দিন তিনি জেলে ছিলেন। শুক্রবার রুসেসাবাগিনা জেল থেকে ছাড়া পেলেন। তিনি আমেরিকায় ফিরে যাবেন। রোয়ান্ডার কাগামে সরকার তাঁর ২৫ বছরের সাজা কমিয়ে দিয়েছে। রুসেসাবাগিনাকে গ্রেফতারে পশ্চিমের দেশগুলি কড়া সমালোচনা করেছিল। তাঁকে আটক করার পর সরকারের সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রপতি পল কাগামের জমানায় জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে বলা হয় বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। রুসেসাবাগিনাকে জেলে পোরা হয় কারণ একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপকে তিনি সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ। ৬৮ বছরের ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। অভিযোগ, কারাবাসে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁর শাস্তির মেয়াদ কমিয়েছেন।
শুক্রবার মাঝ রাতে রুসেসাবাগিনা কিগালিতে কাতারের রাষ্ট্রদূতের অফিসে পৌঁছয়। সেখানে তিনি কিছু দিন থাকবেন। তারপর সেখান থেকে আমেরিকা চলে যাবেন। এই কেসের সমাধানে কাতার ও আমেরিকার প্রশংসা করেছে রোয়ান্ডা। কাগামের প্রেস সচিব স্টেফানি নায়োমবায়িরে বলেন, আমেরিকা রোয়ান্ডা সম্পর্কের পুনরায় উন্নতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ফল। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন রুসেসাবাগিনার মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, হ্যাপি আউটকাম। পলের পরিবার তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে। রুসেসাবাগিনা আদতে বেলজিয়ান নাগরিক।
আরও পড়ুন: IPL 2023 | Mumbai Indians | এক দশক পর বুমরাকে ছাড়া মুম্বই, কতটা দুর্বল হল বোলিং বিভাগ?
ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টকে সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই ফ্রন্টের আক্রমণে ২০১৮, ২০১৯ সালে রোয়ান্ডাতো ৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি অবশ্য ওই আক্রমণে কোনও যোগসূত্র থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রোয়ান্ডান মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জের (Rwandan Movement for Democratic Change) তিনি প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৬ সালে তিনি রোয়ান্ডা ছাড়েন। স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেন। ২০০৪ সালে হোটেল রোয়ান্ডা সিনেমা মুক্তি পাবার পর তিনি রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে যান। ১৯৯৪ সালে হোটেল ম্যানেজার হিসেবে তাঁর রোয়ান্ডা গণহত্যার সময় যে অভিজ্ঞতা তার ভিত্তিতে ওই সিনেমা তৈরি হয়। বলা হয় সেসময় রুসেসাবাগিনার জন্য ১২০০ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ওই ঘটনায় ৮ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তিনি ক্ষমা চেয়ে জেল থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন।
.