Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeরাজনীতিBirbhum| TMC| Conflict | নানুরে কাজল-অনুব্রত অনুগামীদের সংঘর্ষ পার্টি অফিসেই

Birbhum| TMC| Conflict | নানুরে কাজল-অনুব্রত অনুগামীদের সংঘর্ষ পার্টি অফিসেই

Follow Us :

বীরভূম:  ফের বীরভূমে(Birbhum) প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব(Factional Conflict)। শনিবার সকালেই বীরভূমের নানুরে (Nanure in Birbhum) তৃণমূলের প্রধান পার্টি অফিসে (Trinamool’s Party Office) অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় কাজল শেখের অনুগামীদের বিরুদ্ধে নানুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে অনুব্রতর লোকজন। নানুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঠাঁই এখন তিহারে। এই আবহে অনুব্রতহীন বীরভূমের রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবারই কালীঘাটে জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। জেলা তৃণমূল নেতাদের  ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন। বৈঠককে নেত্রী বেফাঁস কথা বলার জন্য কাজল শেখকে (Kajal Sheikh) ধমকও দেন। তিনি কাজলকে বলেন, সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। শনিবার বিরোধীরা বলেন, কেমন করে সবাইকে নিয়ে চলছে তৃণমূল, এদিনই নানুরে তার নমুনা পাওয়া গেল।

আরও পড়ুন:Rahul Gandhi | জেলে ভরুক, মারধর করুক, লড়াই থামবে না বলে মোদিকে হুঙ্কার রাহুলের

নানুরের পার্টি অফিসে এদিন সকালে বসে ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ট তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরী (President Rinku Chowdhury)। তাঁর অভিযোগ, কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ ও নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের (President Subrata Bhattacha) লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। রিঙ্কু চৌধুরী নানুর থানায় নিজের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে রিঙ্কুর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন,  সকালে নানুরের তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে রিঙ্কুকে দেখে দলের কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। তারা রিঙ্কুকে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তা নিয়ে রিঙ্কুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তবে সুব্রতর দাবি, রিঙ্কুকে কেউ মারধর করেনি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh ) ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) দল থেকে ছেঁটে ফেলার পথেই হেঁটেছে তৃণমূল। কিন্তু গ্রেফতারির প্রায় পাঁচ মাস পরেও অনুব্রতকে বীরভূম জেলা সভাপতির পদ থেকে সরাননি নেত্রী। দলের অনেকেই ভেবেছিলেন, শুক্রবারের বৈঠকে হয়ত অনুব্রতকে সরিয়ে অন্য কাউকে জেলা সভাপতি করা হবে। কিন্তু অনুব্রতকে জেলা সভাপতি পদে রেখে দিয়েছেন দলনেত্রী।উল্টে তিনি জেলার নেতাদের অনুব্রতর মেয়েকে দেখে রাখতেও বলেন। বৈঠকে বলা হয়েছে, কোর কমিটি যেমন আছে, তেমনি থাকবে। তবে দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মলয় ঘটক এবং পাণ্ডবেশ্বের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে কোর কমিটির সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রেখে চলতে বলা হয়েছে। কোর কমিটির সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এতসব করেও যে বীরভূমের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, তার টাটকা নজির মিলল শুক্রবারের হেভিওয়েট বৈঠকের ঠিক পরের দিন।ে

 

 

RELATED ARTICLES

Most Popular