skip to content
Saturday, July 27, 2024

skip to content
HomeআজকেAajke | অধীর, খাড়্গে, বাংলা আর জাতীয় রাজনীতি
Aajke

Aajke | অধীর, খাড়্গে, বাংলা আর জাতীয় রাজনীতি

জাতীয় নেতৃত্বের কাছে এই মুহূর্তে কে বেশি প্রয়োজনীয়, অধীররঞ্জন চৌধুরি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

Follow Us :

আমরা আমাদের ২৬২ নম্বর এপিসোডে মানে সেই ১৬ এপ্রিল বলেছিলাম, কং-বাম জোটের প্রচারে রাহুল গান্ধী আসবেন না। বলেছিলাম সিপিএম কেরালাতে কংগ্রেসকে বলছে বিজেপির বন্ধু, বিজেপির বি টিম, বলতেই হচ্ছে, তা না হলে কোন ইস্যুতে মুখোমুখি লড়াইটা হবে? অন্যদিকে কংগ্রেসও যা বলছে তা শোনা গেল রাহুল গান্ধীর ভাষণে, তিনি সাফ বললেন আপনাদের ইডি ধরছে না কেন? জেলে পুরছে না কেন? বলতে চাইলেন সেটিং আছে। সে চলুক, কিন্তু এটাই যদি প্রচারের রকমসকম হয় তাহলে বাম জোটের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া রাহুল গান্ধী কি বাংলাতে বাম-কং জোটের পক্ষে প্রচারে আসবেন? কী বলবেন? কেরালার সিপিএম বিজেপির বি টিম আর বাংলার সিপিএম আমাদের বন্ধু, আসুন একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করি। আপাতত লাখ টাকার প্রশ্ন হল, রাহুল গান্ধী আসবেন সমঝোতার পক্ষে কথা বলতে? ভাষণ দিতে? দলের ভিতরের সূত্র বলছে, তিনি বাংলাতে আসবেনই না, এলেও কংগ্রেসের এক আধ জন প্রার্থীর পক্ষে ভাষণ দিতে আসবেন, তবে তারও সম্ভাবনা কম। যে রাহুল গান্ধী কেরালাতে সিপিএম মুখ্যমন্ত্রীকে আসলে বিজেপির বন্ধু বলেছেন, তিনি বলেছেন সিপিএম বিজেপির হয়েই কাজ করছে, অন্যদিকে সিপিএম নেতা মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেছেন, সারা দেশে কংগ্রেস আসলে বিজেপির সুবিধে করে দিচ্ছে, তারা নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতাও করেনি। সেই রাহুল গান্ধী এ রাজ্যে বাম-কং জোটের পক্ষে বক্তৃতা দিতে আসবেন কেন? আসেননি। এই কথাগুলোই আমরা আগাম বলেছিলাম। কিন্তু বাংলার কংগ্রেস ব্যাস্টিয়নে ভোট শেষ, মধ্য বাংলার কংগ্রেস দুর্গে ভোটের সময়ে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল তাতে খানিক মলম লাগানোর কাজও শুরু করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। মানে ওই যে অধীর চৌধুরী যখন বলছেন বাংলায় ৩৫৬ ধারা লাগু করে সরকার ভেঙে দেওয়া হোক, তখন এই হাই কমান্ড খাড়্গে সাহেব কি কিছু বলিয়াছিলেন? বলেননি। অধীর চৌধুরী যখন নিয়ম করে ইডি আর সিবিআই যেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পোরে তা বলেই যাচ্ছেন, তখন ওই আহামরি হাইকমান্ড কি কিছু বলেছেন? বলেননি। এখন বলছেন? বলছেন নয়, চড়া সুরেই বলছেন। কেন? সেটাই বিষয় আজকে। অধীর, খাড়্গে, বাংলা আর জাতীয় রাজনীতি।

মল্লিকার্জুন খাড়্গে সাহেব তো আজকের ভুঁইফোড় নন, ফ্রাস্টেটেড বৃদ্ধ কলমচিও নন, ওনার কাজের পিছনে যথেষ্ট কারণ আর বিবেচনা থাকাটাই স্বাভাবিক। অধীর রঞ্জন কামান দেগেই চলেছেন, উনি চুপ করেই থাকলেন অথচ ভোট শেষ হওয়ার পরেই তিনি বললেন আমি হাইকমান্ড, আমার নির্দেশ না মেনে চললে দল ছেড়ে যেতে হবে। এই বাজারে অধীররঞ্জনও চলে গেলে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের বংশে বাতি দেখানোর লোকও থাকবে না, এটা উনি জানেন না? একদিন যেতে না যেতেই আবার একটা বিবৃতি, অনেকের মনে হয়েছে সোনিয়ার বকা খেয়ে উনি কথা গিলছেন, তাঁদের জানাই নেই যে কর্নাটক লবিকে অস্বীকার করার ক্ষমতা আপাতত সোনিয়া গান্ধীরও নেই।

আরও পড়ুন: Aajke | কত টাকা দিয়ে মহিলা কেনেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি?

উনি গতকাল যা বললেন তার মূল কথাটা নিয়ে তো আলোচনাই হল না, উনি সাফ বললেন অধীররঞ্জন চৌধুরি হলেন দলের একজন অন্যতম সৈনিক, উনি বংগাল কা নেতা, লিডার অফ বেঙ্গল। হ্যাঁ, উনি যা বললেন তার মানে হল অধীর দেশের নয়, বাংলার নেতা, দেশ নিয়ে আমরা ভাবব, দেশের অ্যালায়েন্স নিয়ে আমরা ভাবব। মমতা জোটে আছেন নাকি নেই তা নিয়ে আমরা কথা বলব, অধীর নয়, ও বাংলার নেতা। কোনও যদি কিন্তু তবে ইত্যাদি নেই, সাফ কথা। কেন? কারণ সম্ভবত দুটো। এক, ওনাদের কানে খবর গেছে আসন কমা তো দূরস্থান, এবারে তৃণমূল আরও কিছু বেশি আসন নিয়েই সংসদে ঢুকবে। যদি মিলিজুলি সরকার হয় তাহলে মমতাকে বাদ দিয়ে কিসসু হবে না। দুই, অধীর নিজে জিতবেন তো? কাজেই ৩০-৩২টা আসনের মালিককে না চটানোই তো রাজনীতি, সরকার হলেও, সরকার না হলেও। সেই জন্যই মল্লিকার্জুন খাড়্গে ট্র্যাক টু চালু করে দিলেন, আজই বলে রাখলাম মিলিয়ে নেবেন, রেজাল্ট বের হওয়ার আগেই মমতা কংগ্রেস হাই কমান্ডের আরও গদগদ ঘনিষ্ঠতার গল্প বের হবে। আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কংগ্রেস দলের জাতীয় নেতৃত্বের কাছে এই মুহূর্তে কে বেশি প্রয়োজনীয়, অধীররঞ্জন চৌধুরি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শুনুন মানুষজন কী বলেছেন।

বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না, কিন্তু এনডিএ-কে নিয়ে? তারা সরকার গড়ে নেবে এটাই সব্বার ধারণা, কিন্তু এনডিএ-র শরিক কারা? জেডিইউ? পাল্টি খেতে কতক্ষণ? তেলুগু দেশম, পাল্টি খেতে কত সময় নেবে? ওদিকে বিজেপির, বিশেষ করে মোদি–শাহের স্বৈরাচার এমনকী এনডিএর শরিকদের অনেকের কাছেই নতুন বিপদ বলেই মনে হচ্ছে, সেখানেও ভাঙন হতেই পারে। সেই সময়ে এক দল যার কাছে ৩০-৩২ এমপি থাকার সম্ভাবনা আছে, তাকে হাতে রাখাই তো স্বাভাবিক রাজনীতি। খাড়্গে সাহেব সেটাই করছেন, বাকি ওই পোস্টার ব্যানারের মুখে কালি? ওই নৌটঙ্কি বেশ পুরনো, আমরা তা জানি।

RELATED ARTICLES

Most Popular