লন্ডন: এবার ব্রিটেনে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনও অবৈধ অভিবাসীর স্থান হবে না ব্রিটেনে (britain) । এমনকী শরণার্থী হয়ে থাকার জন্যেও আবেদন করতে পারবেন না তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই গোটা দেশ জুড়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁরা এখন এদেশে অভিবাসী হিসেবে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে নিজেদের দেশে অথবা অন্য কোনও তৃতীয় দেশে পাঠানো হবে। এদেশে আর কোনও অনুপ্রবেশকারীর জায়গা হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশে সুনক বলেন, আপনারা মানবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করতে পারবেন না। এ দেশের আধুনিক দাসত্ব সুরক্ষা আইনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। আপনারা এ দেশে থাকতেই পারবেন না।
আরও পড়ুন: Singur Co-Operative Bank: সিঙ্গুরের সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার হিড়িক
স্বাভাবিক ভাবেই ঋষি সুনকের এই ঘোষণা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সে দেশের এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীরা শরণার্থীরা হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে সেই শরণার্থীর সংখ্যা যে হরে বাড়ছে তা ব্রিটেনের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর ৪৫ হাজারেরও বেশি শরণার্থী দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ছোট ছোট নৌকো করে বেআইনি প্রবেশ করেছিলেন। সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে ব্রিটেনের অর্থনীতি কার্যত ধুঁকছে। সেই পরিস্থিতিকে সামাল দিতেই কি এই সিন্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর, উঠছে প্রশ্ন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুনকের টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত অর্থহীন, কারওর আবার মত, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সুরক্ষা আইনের সঙ্গে জাতীয় রেফারেল সিস্টেমকে গুলিয়ে ফেলেছেন।