গত পাঁচ বছরে শুধু গুজরাত থেকেই নির্বাচনী বন্ডের (electoral bonds) মাধ্যমে বিজেপির (BJP) রাজনৈতিক তহবিলে (party fund) ১৬৩ টাকা জমা পড়েছে। এই তহবিলের ৯৪ শতাংশই বিজেপি একা পেয়েছে। এসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের (ADR) হিসেব অনুযায়ী ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তহবিলে বন্ডের মাধ্যমে ১৭৪ কোটি টাকা এসেছে। তার সিংহ ভাগই বিজেপির টাকা। সেখানে কংগ্রেস (Congress) পেয়েছে সাড়ে দশ কোটি টাকা, আম আদমি পার্টি ৩২ লক্ষ এবং অন্যান্য দল পেয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।
এডিআর রিপোর্ট (ADR report) আরও বলছে, ২০১৯ সালে ৩৪৩ কোটি টাকার ৫৯৫টি বন্ড কেনা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৩৭টি ছিল ৮৭.৫ কোটি টাকা মূল্যের। ওই সংস্থা তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করে স্টেট ব্যাঙ্কের গান্ধীনগর শাখা থেকে এই তথ্য জানতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে মমতা-শাহের সাক্ষাৎ পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে
গত পাঁচ বছরে রাজনৈতিক দলগুলি কর্পোরেট অনুদান (corporate donations)বা ডোনেশন পেয়েছে মোট ৪০১৪.৫৮ কোটি টাকা। তার মধ্যে ১৭৪ কোটি টাকা গিয়েছে কেবল গুজরাত থেকে। প্রুডেন্ট ইলেক্টরাল ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা বন্ডের মাধ্যমে ৭৪.৩ কোটি টাকা ঢেলেছে। গুজরাতের ছটি সংস্থা এই ট্রাস্টের হাত দিয়ে ডোনেশন দেয়। এডিআই রিপোর্ট থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের রাজ্য থেকেই তাদের দল বন্ডে সিংহভাগ টাকা পেয়েছে।
নির্বাচনী বন্ড থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই। বামদলগুলি এই বন্ড তুলে দেওয়ার পক্ষে। সিপিএম আগেই জানিয়েছে, তারা ডোনেশন নেয় না। বন্ডের মাধ্যমে টাকা তোলারও বিরোধী তারা। সিপিএম এই নিয়ে মামলাও করেছে। সেই মামলা আজও বিচারাধীন। কবে তার মীমাংসা হবে, কেউ জানে না।