বিহারের (Bihar) বেতিয়ায় বেপরোয়া গুলিতে নিহত পাঁচজন। নিহতদের সকলেই মহিলা আর তাঁদের মধ্যে দুজন নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে বেতিয়ার জগদীশপুর থানা এলাকার নকতি পাতোয়ারা গ্রামে। ওই এলোপাথাড়ি গুলি চালনায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া আততায়ী (Accused)। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ সুপার উপেন্দ্র নাথ বর্মা জনিয়েছেন, ওই ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ১৯৮৫ সালে জগদীশপুর এলাকার ওই গ্রামে জমিহীন দরিদ্র পরিবারগুলির (Poor Family) জন্য জমির (Land) বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু কোন জায়গার জমি দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কাগজপত্র ওই পরিবারগুলিকে দেওয়া হয়নি। যদিও জমির এলাকা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ইতিমধ্যে ওই এলাকার পেতেভ্রা গ্রামের বাসিন্দা সুশীল দুবে দাবি করে ওই জমি তার। মামলা চলে আদালতে (Court)। কিন্তু ঘটনার দিন বেশ কিছু লোকজন নিয়ে গ্রামে আসে সুশীল। তারপর তার সঙ্গীরা ওই জমিতে ট্রাক্টর (Tractor) চালাতে শুরু করে। পরিস্থিতি দেখে প্রতিবাদ জানান জমি পাওয়া ওই সব পরিবারের মহিলারা।
আর ঠিক এই সময় প্রতিবাদের মুখে বেপরোয়া গুলি চালাতে শুরু করে সুশীল দুবের ঘনিষ্ঠরা। যার জেরে নিহত হয়েছেন পাঁচজন মহিলা, আহতও হন বেশ কয়েকজন। ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বিহার জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা জমির কাগজপত্র দেওয়া নিয়ে প্রশাসনিক (Administrative) স্তরে সমস্যা থাকার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।