কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: টানা তিনদিনের হামলার পর একরাতের মতো নিশ্চিন্তে ঘুমোল গাজা। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর একটানা রকেট ও আকাশপথে হামলায় রবিবার পর্যন্ত অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ শিশু ও ২ মহিলাও ছিলেন। অসামরিক এলাকায় এই হামলায় জখম হয়েছিলেন আরও তিন শতাধিক। এরপরই প্যালেস্তিনীয় জেহাদিদের তরফে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। মিশরের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনেও নেয় ইজরায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপুঞ্জও দু’তরফকে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানায়।
এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি বজায় রেখে উপসাগরীয় এলাকায় শান্তি কায়েম রাখার প্রস্তাব দেন। শুধুমাত্র ঘোষণা নয়, যুদ্ধবিরতি শর্ত পালন করার উপরও জোর দিয়েছেন বাইডেন। একইসঙ্গে গাজা এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, ওষুধপত্র, শিশুখাদ্য ও জ্বালানি তেল সরবরাহ বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছে ওয়াশিংটন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশরের মধ্যস্থতায় খুশি প্যালেস্তানীয় ইসলামিক জেহাদি সংগঠনের মুখপাত্র তারেক সেলমি বলেন, আমাদের উপর ইজরায়েলের হামলা বন্ধ করতে মিশরের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অন্যদিকে, ইজরায়েল হুমকির সুরে জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি। কিন্তু, অপরপক্ষ যদি তা ভঙ্গ করে, তাহলে সেই মুহূর্তে তারা কড়া জবাব দেবে। প্রসঙ্গত, চলতি সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে কয়েকদিন আগে। ইজরায়েল বাহিনী প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী পিআইজে-র মাথা বাসিম সাদিকে গ্রেফতার করার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ইজরায়েলি হানায় পিআইজে-র আর এক বড় কমান্ডারও মারা গিয়েছেন গত শনিবার।
আরও পড়ুন: Kolkata Rain: কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, জল যন্ত্রণার আশঙ্কায় আগে ভাগেই তৎপর পুরসভা
যুদ্ধবিরতির পর সোমবার থেকে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে গাজা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, এদিন থেকেই ফের অফিস-কাছারি খুলবে। সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজনে কাজে যোগ দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও দরজা খুলছে এদিন থেকেই। গাজা ও অন্যান্য পুরসভাগুলি হানায় ধ্বংসাবশেষ সরাতে কর্মী নিয়োগ করেছে।