শ্রীরামপুর: গরম থেকে মুক্তি দিতে জগন্নাথ দেবকে(Jagannath Dev) রবিবার অক্ষয় তৃতীয়ার (Akhshay Tritiya) দিন কপালে চন্দন লেপন করা হল। এই বিশেষ দিনটিতে চন্দনযাত্রা (Chandan Jatra) উৎসব শুরু হয়েছে। শ্রীরামপুর মাহেশে (Mahesh) জগন্নাথ দেবের চন্দনযাত্রা দিয়ে শুরু ৬২৭ তম বর্ষের রথযাত্রার শুভ সূচনা। আজকের দিনে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে চন্দন মাখানো হয়। কথিত আছে, রাজা ইন্দ্রধগনুকে আদেশ করেছিলেন জগন্নাথ দেব। গরমের হাত থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কপালে চন্দন লেপন করা হোক। সেই থেকে এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে কপালে চন্দন লেপন করা হয়ে থাকে। সেইভাবে আজ এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে পুরীতে রথ তৈরির কাজের সূচনা হয়।
২১ দিন ব্যাপী চলবে এই চন্দনযাত্রা উৎসব। এরপর ৪২ দিন পর অর্থাৎ ৪ঠা জুন পূর্ণিমার দিন তিন বিগ্রহকে মন্দিরের মূল গর্ভগৃহ থেকে বার করে আনা হবে জগন্নাথ দেবের স্নানমঞ্চে। সেখানে ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল ও দুই মন দুধ দিয়ে তিন বিগ্রহকে স্নান করানো হবে। তারপর ২০ জুন রথযাত্রার দিন রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে তিন বিগ্রহ। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী এদিন এমনই জানিয়েছেন।
এদিকে জয়রামবাটির মা সারদার জন্মভিটেতে (Birth Place of Saradamoni) মাতৃমন্দির (Matri Mandir) প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপন হল এদিনই। যে এসেছে, যে আসেনি, যে আসছে, যে আসবে সকলের প্রতি ভালোবাসা ও আশীর্বাদ রয়েছে জগজ্জননী মা সারদার (Maa Saradamoni)। তিনি ভক্তদের এই কথাই বলতেন। তাই জয়রামবাটি (Jairambati) মানেই ভক্তদের কাছে এক অন্য আবেগ, অকৃপণ ভক্তি ও শান্তির ঠিকানা। সেই জয়রামবাটির মা সারদার জন্মভিটেতে (Birth Place of Saradamoni) মাতৃমন্দির (Matri Mandir) প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে বিশেষ পূজার্চনা ও নানান আঙ্গিকের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সারদামণির জন্মভিটেতে সেই উৎসবে সকাল থেকে শামিল হয়েছেন অগণিত ভক্ত।
আরও পড়ুন: Akhilesh Yadav | জাতি-ভিত্তিক জনশুমারির গড়ে তুলতে পারে ‘রামরাজ্য’, মন্তব্য অখিলেশের
১৯২৩ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে স্বামী সারদানন্দ মহারাজ জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সারদা মায়ের পুরনো বাড়ি, নতুন বাড়িকে অক্ষত রেখেই যে বাড়িতে মা সারদার জন্ম হয়েছিল, সেই বাড়িতেই গড়ে ওঠে মন্দির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মাতৃমন্দিরের আকার-আয়তন যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনই মাতৃমন্দিরের কর্মের ব্যাপ্তিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি আর্ত ও দুঃস্থের সেবায় জেলা ও জেলার বাইরে দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে মাতৃমন্দির।