কোভিডের দুঃসময়ে লড়াই করে বীরের সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। এহেন কেরলের বাম সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজার বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ, তাও আবার কোভিড সংক্রান্ত। অতিমারির কালে পিপিই কিট কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শৈলজার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে লোক আয়ুক্ত। কেরলের কংগ্রেস নেতা বীণা এস নায়ার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরেই এই পদক্ষেপ করল তদন্তকারী সংস্থা।
কংগ্রেস নেতার অভিযোগে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও নাম রয়েছে প্রাক্তন স্বাস্থ্যসচিব ড: রাজন এন খোবরাগাডে, মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশনের প্রাক্তন এমডি বালামুরলী, মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশনের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার এস আর দিলীপকুমার এবং আরও সাত জনের। অতিমারির সময়ে পিপিই কিট কেনার ক্ষেত্রে এই ১১ জনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী ছিলেন এবং লেনদেনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Amit Shah: অমিত শাহের বাড়িতে ঢুকল সাপ, তারপর…
বীণার অভিযোগ, পিপিই কিটগুলি বাজারদরের থেকে অনেক বেশি দামে একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে কেনা হয়েছিল। এর জন্য রাজ্যের কোষাগারে চাপ পড়েছে। প্রসঙ্গত, কেরলজুড়ে ওষুধপত্র এবং অস্ত্রোপচারের সামগ্রী সরবরাহ করে মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন।
বীণাদেবীর আরও দাবি, পিপিই কিট ডেলিভারি হওয়ার আগেই বেসরকারি সংস্থাকে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষ হওয়ার পর একমাত্র প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়া সংশ্লিষ্ট আর সমস্ত কর্তাব্যক্তিকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার নোটিস পান শৈলজাও। তাঁকে ৮ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। তিনি নিজে আসতে পারেন অথবা আইনজীবীকে পাঠাতে পারবেন।
কোভিড কালে ভয়ডরহীন ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিলেন কে কে শৈলজা। তাঁর আরোপিত কোভিড সংক্রান্ত নিয়মবিধি দেশের প্রায় প্রত্যেক রাজ্যে অনুসরণ করা হয়েছিল। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল ‘করোনা-ঘাতক’ নামে। আজ তিনিই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।