নয়াদিল্লি: আদানি গ্রুপের শেয়ারে বড় অঙ্কের টাকা লগ্নি করা আছে লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এলআইসির (LIC)। আদানি গ্রুপের শেয়া্র কমে যাওয়ায় এলআইসিতে থা্কা কোটি কোটি গ্রাহকের টাকা সুরক্ষিত আছে তো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিপিএমের (CPM) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) জানিয়েছেন, এর ফলে স্টেট ব্যাঙ্ক (State Bank of India) ও এলআইসির বড় ধাক্কা এসেছে। তাদের টাকা বিনিয়োগ করা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। হিন্ডেনবাগ রিসার্চ (Hindenburg Research) নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে অভিযোগ তোলে বাজারে কৃত্রিমভাবে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর বাড়ানো হয়েছে। আদানী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে তাঁরা। তারপর থেকে শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠী বড়সড় ধাক্কা খেতে শুরু করেছে। পতন হয়েছে একাধিক শেয়ারের (Share)।
সেখানে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এলআইসিও না কি বড় অঙ্কের টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংখ্যাটি কেয়ক হাজার কোটি টাকা। তাতেই ফের সেবি (SEBI), আরবিআইকে (RBI) দিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। তবে, এই বিষয়ে এলআইসি শনিবার দুপুর পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি। স্টেট ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক অবশ্য শুক্রবার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত উদ্বেগের কিছু ধরা পড়েনি। আরবিআই নিয়ম মেনে লগ্নি করা হয়েছে। একটা নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাই চিন্তার কিছু নেই। আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কেনার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে যেসব সংস্থা তাঁরাও অবশ্য শনিবার দুপুর পর্যন্ত উদ্বেগজনক বিবৃতি দেয়নি। কিন্তু, বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। তা হল, কোন জাদুতে এলআইসির ২৫ কোটি গ্রাহকের অর্থ বিনিয়োগ করা হল আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কিনতে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কার কথায় সেখানে বিনিয়োগ করতে গেল ঝুঁকি নিয়ে? একটি তথ্য অনুযায়ী, এলআইসি ৩৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে আদানি এন্টার প্রাইজের শেয়ার কিনতে।
আরও পড়ুন: Pathaan : ৩০০কোটির লক্ষ্যে ‘পাঠান’
আদানি গোষ্ঠী অবশ্য ফের জানিয়েছে, তাঁরা আমেরিকার ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এজন্য পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছেন তাঁরা। তবে হিন্ডেনবাগ রিসার্চ নামে ওই সংস্থাও জানিয়েছে তারা মামলার জন্য তৈরি। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী, ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং তাঁদের সংস্থার এই টানা পোড়েনে বেআব্রু হবে না তো অর্থনীতির কোনও কঙ্কালসার চেহারা? তা নিয়ে ভাবছে ভারতের অর্থনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁরা প্রশ্ন তুলছে, এই ‘সিস্টেমেটিক রিস্ক’ এর দায় কার?