কলকাতা: ২০২৪ সালে দেশে পরিবর্তনের ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Chief Minister of West Bengal) । মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে এক জোট হওয়ার বার্তা দেন। মমতা বলেন, দেশে এখন ভ্রষ্টাচার, দুরাচার এবং মিথ্যাচারের সরকার চলছে। সবাই একজোট হলে ২০২৪ সালে আর বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আর আরও অভিযোগ মন কি বাতের বদলে এখন মিথ্যা কি বাত চলছে।
দুবছর আগে আজকের দিনেই (২ মে) বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছিল। ফলে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানান। টুইটে তিনি লেখেন, ২০২১ সালের আজকের দিনে বাংলার মা মাটি মানুষ সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে ছিল যে গণতন্ত্রে মানুষের শক্তির চেয়ে বড় কোনও শক্তি নেই। আর সেজন্য আমি তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় প্রকৃত জাতির নির্মানে আমাদের প্রায় জারি রাখতে হবে, দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে হবে। কারণ আগামিদিনে আমাদের অনের যুদ্ধ লড়তে হবে জিততে হবে। আমি আজ মা-মাটি দিবসে বাংলার সকল মানুষকে গণতন্ত্র বজায় রাখার যে ভূমিকা পালন করেছেন তার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন:Rahul Gandhi | গুজরাত হাইকোর্টে স্বস্তি মিলল না রাহুলের, পরবর্তী শুনানি জুনে, গ্রীষ্মের ছুটির পর
‘মানুয জিতবে, দেশ জিতবে’ শীর্ষক এক ভিডিও বার্তাতেও মুখ্যমন্ত্রী সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওই বার্তায় তিনি বলেন, ৩৪ বছরের বামফ্রণ্টের অপশাসনকে দূর করে তৃণমূল সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে। গত ১২ বছর ধরে তৃণমূলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলা আজ বিশ্ব সেরা। সবেতেই বাংলা এক নম্বরে। তাঁর আরও দাবি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার প্রভূত উন্নতি হয়েছে তৃণমূলের শাসনে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্য সরকার কোমও সহানুভূতি এবং পাচ্ছে না। উল্টে ভুয়ো খবর কুৎসা ও মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে। তার মধ্যেও বাংলা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।
এদিকে বিরোধীরা তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপি এই দিনটিকে কালা দিবস হিসেবে পালন করেছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দুবছর আগে ঠ্ক এই দিনেই ভোটের ফল প্রকাশের পর বিকেলে বেলেঘাটায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী অসীম সরকারকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার সিবিআই তদন্দ আজও চলছে। সেদিন থেকেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস শুরু হয়, যা আজও চলছে। আগে শুধু বিজেপি কর্মীরাই মারা যেতে এখন সাধারণ মানুষও মারা যাচ্ছে।
সিপিএময়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজ্যে খুনের রাজত্ব চালু করেছে তৃণমূল। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অথচ দুবছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসব চলছে চারদিকে, আর মানুষের সর্বনাশ হচ্ছে।