কলকাতা: জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা এবং ছেলে সৌভিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। একই সঙ্গে শনিবার আত্মসমর্পণ করেন মানিক ঘনিষ্ঠ শিক্ষা ব্যবষায়ী তাপস মণ্ডল। ইডি প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। তার ভিত্তিতেই আদালত তিনজনকে সমন পাঠিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁরা জামিনেরও আবেদন করেছেন। তার বিরুদ্ধে হলফনামা দিতে চায় ইডি। সেই হলফনামার জবাব দেবেন আবেদনকারীরা। সব পক্ষের হলফনামা পেশ হওয়ার পর জামিন মামলা গুলির শুনানি হবে। পরবর্তী শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি। আদালতের নির্দেশ, ওই দিন তিনজনকেই হাজির থাকতে হবে।
এদিকে নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত মানিক, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির মামলা থেকে মুক্তি চেয়ে নগর দায়রা আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি হবে ৩১ জানুয়রি।
আরও পড়ুন: Khardah Money Recovered: খড়দহের প্রফেসর কাণ্ডে আরও ২ অফিসের হদিস
আদালতে অর্পিতা জানান, তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছে না। সংশোধনাগারে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। একই কথা জানান পার্থও। বিচারক জানান, তিনি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিরদেশ দেবেন। বিচারকের মন্তব্য, আপনারা দুজনেই হাইপ্রোফাইল বন্দি। তাই মানসিক চাপ পড়ছে। এর থেকে শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। এ ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষকে নিরদেশ দেওয়া ছাড়া আদালতের কিছু করার নেই।
এদিন আদালতে সৌভিক ও শতরূপা দাবি করেন, তাঁরা ইডির তদন্তে সহযোগিতা করছেন। যখনই তদন্তকারী সংথা ডেকেছে, তখনই তাঁরা হাজিরা দিয়েছেন। তাপস মণ্ডলও বলেন, আমি পাঁচবার ইডির কাছে হাজিরা দিয়েছি। তিনজনেই জামিনের আবেদন জানান। সেই আবেদনের শুনানি হবে ৩১ জানুয়ারি।