কলকাতা: ঘেরাও মুক্ত হলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ (principal) রঘুনাথ মিশ্র। মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত (Movement) ছাত্ররা (Student) মঙ্গলবার মাঝ রাতে তাঁদের অবস্থান তুলে নিলেন। ফলে অধ্যক্ষ সহ ২৩ জন ঘেরাও মুক্ত হলেন। ছাত্রদের বক্তব্য, কলেজ কর্তৃপক্ষকে (Authority) বুধবার দুপুর ২টো পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্দেশিকা (Directive) দিতে হবে। এই দাবি (Demand) না মানা হলে আমরণ অনশনে (Hungerstrike) নামবেন ডাক্তারির ছাত্র ছাত্রীরা। আপাতত তাঁদের তিনটি শর্ত (Condition) দেওয়া হয়েছে। এক, ডিসেম্বরের ২২ তারিখ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন করতে হবে। দুই, ডাক্তারি (Doctor) ছাত্রদের নিগ্রহ করার ঘটনার তদন্ত করতে হবে। তিন, কলেজের কেন্দ্রীয় গবেষণাগার (Central Laboratory) কার জন্য বন্ধ (Close) করা হল তার তদন্ত (Investigation) করতে হবে।
রাত একটা ৪০ মিনিট ঘেরাও তুলে নেওয়ার কথা জানায় ছাত্র ছাত্রীরা। তাঁরা বলেন, তুলে নেওয়া হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজের ঘেরাও। কর্তৃপক্ষকে সম্মানের সঙ্গে জানিয়ে এসেছি, তাঁরা চাইলেই অধ্যক্ষের রুম থেকে চলে যেতে পারেন। তাঁদের বাধা দেওয়া হবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ ২২ তারিখ ভোট করানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের উপর নেমে আসা শারিরীক নিগ্রহ, হুমকির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেন না। কার নির্দেশে সেন্ট্রাল ল্যাব চার ঘন্টা বন্ধ থাকে তার জবাব দিতে পারছেন না। যার সঙ্গে এই আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনওরকম আলোচনার পথেই এর সমাধান তাঁরা করতে চান না।
আর পড়ুন: Swarnakamal Saha: তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঘেরাও তুলে নেওয়া হচ্ছে।কিন্তু, আমাদের আন্দোলনের এখানেই শেষ নয়। আমরা কর্তৃপক্ষকে বুধবার বেলা দুপুর ২টো পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। যদি তাঁরা তার মধ্যে ২২ ডিসেম্বরের ভোটের নির্দেশিকা না দিতে পারেন আমরা বৃহত্তর আন্দোলন তথা আমরণ অনশনের পথে অগ্রসর হব। কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে আছি, যাতে তাঁরা সুস্থ ভাবে নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করে নিজেদের বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করেন। তা না হলে এই অনশনের ফলে যদি কোনও ছাত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার দায় কর্তৃপক্ষের।