নয়াদিল্লি: সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে (BSF) অগ্নিবীরদের (Agniveers) জন্য সংরক্ষণ চালু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Union Home Ministry)। বিএসএফের জেনারেল ডিউটি ক্যাডার (নন গেজেটেড) নিয়োগ বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। তাতে এই আধা সামরিক বাহিনীতে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সংরক্ষিত পুলিশ বাহিনীর (CRPF) বিএসএফ হল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আধা সামরিক বাহিনী।
এর আগে গত ৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবসরপ্রাপ্ত অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় এবং শারীরিক পরীক্ষায় ছাড় ঘোষণা করেছিল। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পাঁচ বছর ছাড় এবং তাদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্য ব্যাচের অবসরপ্রাপ্তদের জন্য বয়সে ৩ বছরের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীতে (Defence Services) অগ্নিপথ প্রকল্পকে (Agnipath Scheme) চ্যালেঞ্জ করে আদালতেরও দ্বারস্থ হয় অনেকে। সেই আবেদনগুলি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi HC)। সম্প্রতি এই প্রকল্পের বৈধতাকেও মান্যতা দিয়েছে দিল্লি উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিরক্ষা চাকরিতে পূর্বের নিয়োগ পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত সব আবেদন বাতিল করে দেয়। নির্দেশে বলা হয়েছে, এই প্রকল্প নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করে না।
অগ্নিপথ প্রকল্পে চার বছরের জন্য সেনা জওয়ানদের নিয়োগ করা হবে। অগ্নিপথে যোগদানের জন্য বয়স হতে হবে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর। মোট ৪৫ হাজার ভারতীয় যুবক এই প্রকল্পের অধীনে কাজের সুযোগ পাবেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে স্থায়ী পদে সেনাবাহিনীতে যোগদান করানো হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে কেন্দ্রীয় সরকারের সেবা নিধি প্রকল্পের আওতায় এককালীন ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে কার্যত বিদায় দিয়ে দেওয়া হবে। তবে জরুরি সময়ে এদেরকে কাজে লাগানো হবে বলেও জানান তিন সেনাবাহিনীর প্রধান।
চার বছরের মেয়াদে প্রথমে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই জওয়ানদের। তাঁদের প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন-সহ অন্যান্য ভাতা দেওয়া হবে। প্রকল্প ঘোষণার পর প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে প্রায় গোটা দেশ। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যে যুবকরা এই প্রকল্পের প্রতিবাদে পথে নেমে পড়েন। রাস্তা, ট্রেন অবরোধ থেকে শুরু করে ভাঙচুর আগুন কিছুই বাদ যায়নি এই প্রতিবাদী আন্দোলনে।