লিমা: আমেরিকার ‘মিরাকল অফ হাডসন’ (miracle of hudson) এর স্মৃতি উস্কে দিয়ে তানজানিয়ায় (tanzania) হ্রদের (lake) মধ্যে অবতরণ করল যাত্রীবাহী বিমান। প্রত্যেককেই দ্রুত উদ্ধার করা গিয়েছে। ভারতীয় সময় রবিবার দুপুরে বুকোবা বিমানবন্দরে নামার আগে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে সেসময় ঝড়, বৃষ্টি চলছিল। ফলে দুর্ঘটনা, না কি পাইলটের বুদ্ধিমত্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে ওই অবতরণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিমানবন্দরের রানওয়ের ১০০ মিটারের মধ্যেই এই অবতরণ। বিমানে মোট ৪৯ জন ছিলেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অবতরণের কারণ জানা যায়নি। আহতদের হাসপাতালে শুশ্রুষা চলছে। ভিক্টোরিয়া হ্রদ আফ্রিকার (africa) সব থেকে বড় হ্রদ। হ্রদে বিমানের অবতরণের ওই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
তানজানিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী দার-ই-সালাম থেকে এদিন বুকোবা যাচ্ছিল বিমানটি। অবতরণের পর দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয়। বিমানটি (plane) উদ্ধারে ক্রেন নামানো হয়। পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলার টিম, মৎসজীবীরা উদ্ধারে নামেন। এই ঘটনায় প্রত্যেক যাত্রীকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে এদিন বিকেলে জানা গিয়েছে। সেই দেশের রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসান (president samia hassan) জানিয়েছেন, দুঃখের ঘটনা যে হ্রদের বিমানের অবতরণ হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করছি। মৃত্যুর খবর নেই। উদ্ধার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন Pedro Castillo: বামপন্থী প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে পেরুর রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ইঞ্জিন খারাপ হয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে আমেরিকার হাডসন নদীতে বিমানের অবতরণ করিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন চেসলি। যার বুদ্ধিমত্তার জেরে ৫ জন আহত হওয়া ছাড়া কারও বড় ক্ষতি হয়নি। যা ‘মিরাকল অফ হাডসন” নামে পরিচিত। পরে ওই কাহিনীকে ঘিরে ‘সুল্লি’ (sully) নামে হলিউডে টম হ্যাঙ্কস অভিনীত সিনেমা তৈরি হয়।
এর আগে সমুদ্রে বিমান ভেঙে বেশ কয়েকবার বড় রকমের দুর্ঘটনাও ঘটেছে। নাইরোবি যাওয়ার পথে ২০০০ সালে কেনিয়া এয়ারওয়েজের একটি বিমান আটলান্টিক মহাসাগরে পড়ে ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।