কলকাতা ও নয়াদিল্লি: তখন মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজ নিচ্ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খবর পান, উত্তরবঙ্গে বিকানির এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার। তড়িঘড়ি রেল কর্তাদের নির্দেশ দিন পুরো বিষয়টির দিকে নজরদারি শুরু করেন। খবর পৌঁছয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও। বৈঠকের মাঝেই আলোচনা থামিয়ে পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মমতাও বিস্তারিত তথ্য জানান মোদিকে।
উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ লাইনচ্যুত হয় আপ-বিকানির এক্সপ্রেস। খবর পৌঁছয় কম করে ৬-৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কম করে ১০ থেকে ১২টি কামরা। ইঞ্জিনের পাশাপাশি উল্টে গিয়েছে সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বগি। মমতা খোঁজ নেন কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। যাতে কোনওভাবে উদ্ধার কাজের ব্যাঘাত না ঘটে তার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: Bikaner Express accident: দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত আপ গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেস
প্রশাসনিক দিক থেকে সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার দ্রুত ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালের পাশাপাশি প্রয়োজনে কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিসের পাশাপাশি চিকিৎসকদের ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়েছে। যাতে উদ্ধারকাজে কোনওরকম ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকটায় নজর দেওয়া হচ্ছে।