কলকাতা: নিয়োগ বাতিল স্থগিত রাখার নির্দেশিকা জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) । কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম-দশম, গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ তে নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করেছিল। সেগুলি পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। স্কুল সার্ভিস কমিশন মারফত ১০ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ, ৩ মার্চ ও ১০ মার্চ জারি করা বিজ্ঞপ্তিগুলি কার্যকর হবে না বলে জানানো হয়েছে। নবম দশমে ৭৭৫, গ্রুপ সিতে ৭৮৩ ও গ্রুপ ডি তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের সুপারিশ করেছিল এসএসসি। এসএসসির সুপারিশ পেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট চাকরিগুলি বাতিলের নির্দেশ জেলা ডিআই-দের কাছে পাঠিয়েছিল। সেগুলি কার্যকর হচ্ছে না এখনই। বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
চাকরি বাতিলের ওই তালিকা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়েছিল। দেখা গিয়েছে তাতে নেতা বিধায়কদের নিকটাত্মীয়তদের নামও ছিল। তা নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। যেমন চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম ওঠে প্রাক্তন বিধায়ক ও বর্তমান বিজেপি (BJP) নেতার মেয়ের নাম। গ্রুপ সি (Group C) নিয়োগ বাতিলের তালিকায় নাম ছিল বাগদার একাধিক ব্যক্তির৷ সেই তালিকায় বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা দুলাল বরের মেয়ে বৈশাখী বরের নাম থাকায় তা নিয়ে তৃণমূল (TMC) প্রশ্ন তুলতে শুরু করে৷ তৃণমূল নেতা সঞ্জিত সর্দার বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে দুলাল বর মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। ধৃত চন্দন মণ্ডলের (Chandan Mondal) সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি অনেককে চাকরি দিয়েছেন। নিজের মেয়েকেও যে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, তা আজ প্রমাণিত হল। তিনি আরও বলেন, চন্দন সিপিএম করতেন। আর দুলাল বর ছিলেন কংগ্রেস সিপিএম জোটের বিধায়ক৷ দুলালকে সিবিআই এবং ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করলে কংগ্রেস ও সিপিএমের অনেক নেতার নাম উঠে আসবে৷
আরও পড়ুন: Bilawal Bhutto Zardari | আট বছর পরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ভারতে আসছেন
যাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদের সবারই যে নম্বর বাড়ানো হয়েছে, এমনটা নয়। অনেকের ক্ষেত্রে নম্বর কমানোও হয়েছে। ওএমআর শিটে (OMR Sheet) বেশি নম্বর থাকলেও সার্ভারে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই নম্বর কারচুপির বিষয়টি স্কুল সার্ভিস কমিশনই আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল। সেই রিপোর্ট দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এরপরই তিনি তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই ও এসএসসি এই ওএমআর কারচুপি সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছিল আদালতে। সেখানে গাজিয়াবাদ থেকে ৩ হাজার ৪৭৮ টি ওএমআর উদ্ধার হয়। এর মধ্যে ৩০০ টি ওএমআর বিকৃত করা হয়নি বলে জানানো হয়।