কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম ভাঙিয়ে কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) একাই ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে, বৃহস্পতিবার এমনি বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC recruitment scam) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে ধৃত শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল (Tapas Mandal)। এদিন কুন্তল, তাপস শান্তি প্রসাদ সিনহা সহ নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত অনেককেই আদালতে তোলা হয়। সেই সময়ই তাপস দাবি করেন, প্রথম দিনে বলেছিলাম ১০০ কোটির খেলা। এখন যেটা শুনছি ৫০০ কোটির খেলা। কুন্তল সব টাকা নিজের কাছেই রেখেছে। হাওলাতে টাকা খাটিয়েছে। বহু টাকা পাচার করা হয়েছে। সিবিআই সঠিক তদন্ত করলে আমার সব অভিযোগ প্রমাণ হবে। তাপসের এই অভিযোগের পাল্টা দিতে দেরি করেননি কুন্তল। তিনি বলেন, তাপসের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই ও ভুল বকছে।
এদিকে এদিনও ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল। তিনি বলেন, বিজেপির মুখপাত্র এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মুখপাত্র একই। বিজেপির কথাতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ওঠাবসা করছে। জেলের মধ্যেও আঙুলে আংটি পরে থাকা নিয়ে বুধবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের দেখেই কুন্তল দু’হাত তুলে বলেন, আমার হাতে আংটি নেই। ঘামাচি আছে। একটা আংটি পড়লে যদি প্রভাবশালী হয়ে যায় কেউ, সেটা সিবিআইয়ের লজ্জা।
আরও পড়ুন:Bilawal Bhutto Zardari | আট বছর পরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ভারতে আসছেন
এদিন আদালতে কুন্তলের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে লকআপে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে কুন্তলের চিঠি মামলার শুনানি ছিল। কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো নথিপত্র জমা দিনে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। তিনটি হার্ডডিস্ক, সিসিটিভি ফুটেজ এবং জেলের ভিজিটার রেজিস্টার আদালতে জমা দেন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, চিঠির মামলা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন তাই হাইকোর্টে আপাতত তার শুনানি হচ্ছে না। শীর্ষ আদালতের রায়ের পর হাইকোর্টে মামলার শুনানি হবে। চিঠি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্সি জেলের সমস্ত নথি আপাতত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা থাকবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ এপ্রিল।
অন্যদিকে এদিনও ফের সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করনে বিচারক। তিনি বলেন, প্রায় এক বছর হতে চলল এখনও অপরিচিত সরকারি কর্মীর কথা লেখা আছে রিমান্ড কপিতে। এটা কেন হবে? দ্রুত আসল দোষীদের নাম সামনে আনুন। যে সব নতুন সাক্ষীর কথা জানা গিয়েছে তাদের বয়ান রেকর্ড করুন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ বিচারপতির। তদন্তের গতিপ্রকৃতি আরও বাড়াতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ বিচারপতির।