সাংসদ (parliament) ও বিধায়করা বাক স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন দেশের আর পাঁচজন নাগরিকেরই মতো। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট (supreme court) একথা জানিয়ে বলেছে, ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ১৯ (১) (এ) ধারা অনুসারেই সাংসদ ও প্রতিটি রাজ্যের বিধায়করা (MLA) বাক স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন। এটা সাংসদ, বিধায়কদের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনও বিধিনিষেধ চাপানো যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মমনিয়াম এবং বিভি নাগারত্ন বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সাংসদ, বিধায়কদের (MLA) সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের সাম্যর কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: Pakistan Railways: চীনা ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান, অর্থাভাবে বন্ধ হওয়ার পথে রেল পরিষেবা
এদিন পৃথক আর একটি রায়ে বিচারপতি বিভি নাগরত্ন বলেন, বাক স্বাধীনতা এমন এক নাগরিক অধিকার যার মাধ্যমে নাগরিকরা তথ্যসমৃদ্ধ হতে পারেন। তবে তা যেন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য (hate speech) পর্যবসিত না হয় তা দেখতে হবে।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের (UP) মন্ত্রী আজম খানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতিরা বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে নিজেদের অভিমত জানিয়েছেন। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে উত্তরপ্রদেশে (UP) এক ব্যক্তির স্ত্রী ও কন্যা গণধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনার পরে আজম খান বিতর্কিত মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) একটি মামলা দায়ের করা হয়। আজম খান মন্তব্য করেছিলেন গণধর্ষণের (gangrape) ঘটনা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।