বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে ওভার লোডিং-এর সমস্যা বন্ধ করা যায়নি। মেনে নিলেন নতুন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। দূরপাল্লার সড়ক বা অন্যান্য রাস্তার ক্ষেত্রে সামর্থ্যের তুলনায় অনেক বেশি ভারবাহী পন্য যে আসলে রাস্তাগুলির হাল বেহাল করে ছেড়ে দিচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু সমস্যা আর মিটছে না।
পরিবহন দফতরের তরফে এই সমস্যা মেটাতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? সে প্রশ্নের উত্তরে কার্যত ঢোক গিললেন রাজ্যের নতুন পরিবহন মন্ত্রী। স্নেহাশীষ চক্রবর্তী আমতা আমতা করে কোনওমতে জানালেন, ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। পরিবহন বিভাগের আধিকারিকদের তরফেও সে ভাবে কোনও বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে না। কেন এখনও ওই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সে প্রশ্নের জবাবেও তিনি একই বয়ানে জানান, ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিবহন মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যে অবশ্য মোটেই সন্তুষ্ট নন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে ভুক্তভোগী সব পক্ষ।
এদিকে ট্রাফিক সংক্রান্ত মামলায় চালান নিয়ে দুর্নীতি রুখতে এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এবার ই-চালান ব্যবস্ছা চালু করল কলকাতা পুলিশ। ওই ব্যবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে ট্রাফিকের জরিমানা দিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা জানালেন, যুগ্ম নগরপাল ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে এবং ডিসি ট্রাফিক সুনীল কুমার যাদব।
শুক্রবার থেকে এই পরিষেবা চালু হবে। ওই ই-চালান পরিষেবায় তিনটি পদ্ধতিতে ট্রাফিক সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে পারবেন সকলেই। এমনকি জরিমানার পরিমাণ কত তাও জানা যাবে এই নতুন পরিষেবায়। আগে ট্রাফিক সংক্রান্ত মামলায় ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা রাখতে হত। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে আর ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা রাখতে হবে না। আপাতত কলকাতার চারটি ট্রাফিক গার্ডে চালু হচ্ছে এই পরিষেবা। পুজোর পর ওই ব্যবস্থা চালু হবে শহরের সব কটি ট্রাফিক গার্ডে।