ভোপাল: ভেবেছিল মেঘ বালিকা হয়ে স্বপ্নের উড়ানে দেশ বিদেশ উড়ে যাবে। কিন্তু, বাধা হচ্ছিল মুখের ভাষা। ঝরঝরে ইংরেজি বলতে পারত না সে। তাই নিয়ে মনমরা থাকত। চেষ্টা করেছিল অনেক। কিন্তু, তাতেও ভাষা রপ্ত করতে না পারায় অবসাদে চলে গিয়েছিল। শুক্রবার রাতে মধ্যপ্রদেশের হীরানগর থানা এলাকার গৌরীনগর কলোনির বাড়ি থেকে শৈল কুমারীর (Shail Kumari) (17) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে সে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীটি এয়ারহোস্টেস (Airhostess) হতে চেয়েছিল। কিন্তু, ফ্লুয়েন্ট বা ঝরঝরে ইংরেজি না বলতে পারার জন্য হীনমন্যতায় ভুগত সে। তাই বলে সে এমন করবে আঁচ করতে পারেননি তাঁর পরিবারের কেউ। ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ওই ছাত্রীটির মা ও বোন জানিয়েছেন, সে একটি কোচিং (Coaching) সেন্টারে টিউশন নিচ্ছিল। এয়ারহোস্টেস হওয়ার জন্য তাঁর এই কোচিং। ইংরেজি (English) ভাষা রপ্ত করতে পারছিল না।
আরও পড়ুন: Boubazar Fire: বৌবাজারে অগ্নিকাণ্ড, অল্পের জন্য বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা
স্থানীয় ভাষায় (Local Language) পঠন পাঠনে জোর দেওয়ার কথা শিক্ষাবিদদের (Educationist) মুখে প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু, বাস্তবে ইংরেজি না বলতে পারার জন্য অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর প্রতিভা (Talent) অকালেই ঝরে যায়। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের এক ছাত্রী ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে উত্তীর্ণ হতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন। ওয়িকবহাল মহলের অবশ্য বক্তব্য, ছাত্র ছাত্রীদের একাংশের মধ্যে ধৈর্যের অভাব রয়েছে। একটি পরীক্ষায়, বা একটি বিভাগে দুর্বলতা মানে জীবনের শেষ নয়। এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।