শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য (Vice Chancellor) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) কার্যকালের মেয়াদ কি আর বাড়ছে না? এই প্রশ্নে নানা জল্পনা চলছে শান্তিনিকেতন জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়েরই কোনও একটি সূত্রের খবর, উপাচার্য আর এক্সটেনশন পাচ্ছেন না। তবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সবারই মুখে কুলুপ। কেন্দ্রীয় সরকারেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্যের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ এবং বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ও। বিশেষ করে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে যেভাবে উপাচার্য অনাবশ্যক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, তাও দিল্লি ভালো চোখে দেখছে না। এরই মধ্যে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং বিজেপির অন্যতম জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার মন্তব্য উপাচর্যের কার্যকালের মেয়াদ নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতারা উপাচার্যের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।
বিশ্বভারতীর সাম্প্রতিক বিতর্ক বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra) সরাসরি উপাচার্যের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনিও হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, উপাচার্যের আচরণে প্রধানমন্ত্রী খুশি নন। অনুপম বলেন, উপাচার্য নিজেকে বিজেপির অনেক বড় নেতা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। অনুপম বলেন, অমর্ত্য সেনকে টার্গেট করা দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। তৃণমূলের অনেক নেতাও তো বিশ্বভারতীর জমি দখল করেছেন। তা নিয়ে তো উপাচার্য কিছু বলছেন না । আসলে উপাচার্য অনেক বিজেপি নেতার চেয়ে নিজেকে বেশি বিজেপি দেখাতে গিয়েছিলেন। এভাবে তিনি আসলে পার্টির ক্ষতি করে দিলেন।
বিজেপি নেতার সংযোজন, প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) সেখানকার আচার্য, এর ফলে তাঁর ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। উপাচার্য হওয়ার সুবাদে এমন প্রচার ছড়িয়েছে, যাতে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সব কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর মহলের অনুমোদন রয়েছে। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা পৌষমেলা (PoushMela) তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন। উপাচার্যের অবসর সামনে। তিনি আরও এক্সটেনশন পাওয়ার জন্য সেসব করছেন বলে মনে হয়। তবে তাতে খুব কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: দাদা ধরে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট মিলবে না, ফের হুঁশিয়ারি অভিষেকের
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumader) বলেন, উপাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোনও কথা হবে না। বর্তমান উপাচার্য দেশের এক জন নামী শিক্ষাবিদ (Educationist)। তৃণমূলের মতো উপাচার্য নিয়োগে বিজেপি পার্টির অনুমোদন দেখে না।