বাঁকুড়া: এক ধাক্কায় বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমল ৪৩ শতাংশ। সংখ্যার হিসেবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২২ হাজার ৯৩৯ জন। গত বছরের সংপরিসংখ্যান অনুযায়ী এবছর ছেলেদের সংখ্যা কমেছে ১১ হাজার ৪৬৭, ও মেয়েদের সংখ্যা কমেছে ১১ হাজার ৪৭২।
বাঁকুড়া জেলায় মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এত টা কমে যাওয়ায় রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ শিক্ষা দফতরের কপালে।
শিক্ষা দফতর (Education Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা রাজ্যেই চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বাঁকুড়া জেলায়। ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ন্যুনতম ৫ বছর ৮ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ বছর করা হয়েছিল। যারফলে ওই বছর ৩০ শতাংশ কম ছাত্র ছাত্রী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল। সেই ব্যাচই এবার মাধ্যমিক দিচ্ছে।
শিক্ষা দফতর আরও জানিয়েছে, এত পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার জন্য করোনা পরিস্থিতিও দায়ী। করোনার ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশুনা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : ED On Partha Chatterjee: বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, পার্থ পিছিয়ে দিয়েছেন: ইডি
বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-এর বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অস্মিতা দাসগুপ্ত জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি ও তার পরবর্তীতে স্কুলের পঠন-পাঠন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের খামতিও এই পরীক্ষার্থী কমার অন্যতম কারণ।
তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গৌতম দাস দাবি করেন, করোন পরিস্থিতির জন্য পরীক্ষার্থীর সামান্য কমেছে, তবে স্কুল ছুট নেই বললেই চলে। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার বড় কারণ, ২০১১-১২ সালে ভর্তির বয়স বদল। তিনি আরও বলেন, পরের বছর ফের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্বাভাবিক জায়গায় পৌঁছাবে বলে আশা করছি।
জেলা স্কুল পরিদর্শক(মাধ্যমিক)পীযূষকান্তি বেরা জানান, স্কুলছুট হচ্ছে কি না তা খতিয়ে না দেখে বলা সম্ভব নয়। পরীক্ষার্থী কেন কমল, তা নিয়ে বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।