শাসক-বিরোধী আবহকে কাজে লাগিয়ে আম আদমি পার্টি কি কংগ্রেসকে টপকে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে পারবে? নাকি মোদি ম্যাজিকে এবারও খড়কুটো হয়ে যাবে বিরোধীরা? এহেন নানা প্রশ্নের আবহে আগামী ১২ নভেন্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আর ফল ঘোষণা হবে ৮ ডিসেম্বর। উত্তর ভারতের ৬৮টি আসনের বিধানসভায় ২০১৭ সালের ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৪৪টি আসনে। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২১টি আসন।
হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে গুজরাট বিধানসভা আসনেও নির্বাচন ঘোষণার কথা ছিল শুক্রবার। কারণ চলতি বছরের মধ্যে হিমাচলের পাশাপাশি গুজরাটেও নতুন সরকার গঠনের কথা। অবশ্য শুক্রবার মুথ্য নির্বাচন কমিশনারের সাংবাদিক বৈঠকে ওই ব্যাপারে একাধিক প্রশ্ন উঠলে রাজীব কুমার জানিয়ে দেন, বেশ কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রেখে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তার মধ্যে আছে দুই রাজ্যে বিধানসভা শেষ হওয়ার মেয়াদ, আবহাওয়া আর নির্বাচনী প্রথা।
হিমাচলে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৮ জানুয়ারি, আর গুজরাট বিধানসভার ১৬ ফেব্রুয়ারি। আর রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, ছয় মাসের মধ্যে মেয়াদ শেষ হচ্ছে এমন বিধানসভার ক্ষেত্রে একইসঙ্গে নির্বাচন করে নেওয়াটাই প্রথা। আসলে মোদী-রাজ্য গুজরাটের নির্বাচনের ব্যাপারে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। আর মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি, এমনিতেই দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মেয়াদ শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবধান প্রায় ৪০ দিনের। তাই বিধানসভা আয়োজনের জন্য অন্তত ৩০ দিন ব্যবধান রাখাই বাঞ্ছনীয়। যাতে এক রাজ্যের ভোটের ফল অন্য রাজ্যের নির্বাচনে প্রভাব না ফেলতে পারে।
পাশাপাশি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, অন্তত হিমাচল প্রদেশে বরফ পড়া শুরু হওয়ার আগে বিধানসভা ভোট সেরে নেওয়া জরুরি। আর এজন্যই আগে হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন হবে যথাসময়ে।