ইসলামাবাদ: গত কয়েকদিন আগের কথা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল কামার জামেদ বাজওয়া (Pakistan’s Former Army Chief General Qamar Javed Bajwa) সেদেশের দুই সিনিয়র সাংবাদিক (Senior Journalist) হামিদ মির এবং নসীম জেহরা (Hamid Mir and Naseem Zehra)-র কাছে দাবি করেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পাক সেনাবাহিনীর (Pak Army) হাতে পর্যাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ (Arms and Ammunition) নেই। অর্থনৈতিক দিক থেকেও দেশ এখন কমজোর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে (British Media) এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তান এই মুহূর্তে আর্থিক দিক থেকে পঙ্গু, তা সারা বিশ্ব চাক্ষুষ করছে। কিন্তু সামরিক অস্ত্রশস্ত্র?
ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (Inter-Services Public Relations)। পাক সেনাবাহিনীর মিডিয়া ও জনসংযোগ শাখার ডিজি মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ (DG ISPR Maj General Ahmed Sharif) বলেছেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধপ্রস্তুতির অক্ষমতা নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। বরং পরিস্থিতি দেখা দিলে ভারতের উপর আক্রমণ হানতে পাক সেনাবাহিনী তৈরি রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, অপারেশন সুইফট রিটর্ট (Operation Swift Retort)-এর সময় পাকিস্তানের বায়ুসেনা (Pakistan Air Force) দেখিয়ে দিয়েছে, দেশের স্থিতিস্থাপকতা এবং বায়ুসেনার সঙ্কল্প কতটা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Old Market India | জানেন কি আজও দেশে রমরমিয়ে চলছে শতাব্দীর প্রাচীন বাজারগুলি
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা (Pulwama, J&K) জেলায় সন্ত্রাসবাদী হানায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (Central Reserve Police Force – CRPF)-এর ৪০ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন। পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেট (Mirage-2000 Fighter Jets) পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বালাকোটে (Balakot) জঈশ-এ-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)-এর জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দিয়ে আসা। পাক ভূখণ্ডের ভিতরে ঢোকা এবং হামলা চালিয়ে ফের ভারতে প্রবেশ করা, গোটা পরিকল্পনার কোডনেম (Codename) দেওয়া হয়েছিল অপারেশন বন্দর (Operation Bandar)। এই নাম দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, গোপনীয়তা রক্ষা। মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ সেই ঘটনারই কথা উল্লেখ করেছেন।
তাঁর বক্তব্য, পুলওয়ামা হামলার ঘটনার অজুহাতে ভারত কাপুরুষোচিত হামলা (Cowardly Attack) চালিয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তান সেই জঘন্য পরিকল্পনাকে আটকে দিয়েছে। এরপরেই তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের বায়ুসেনা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। শুধুমাত্র দেশকে রক্ষা করাই নয়, প্রয়োজনে শত্রু দেশে গিয়ে আক্রমণ চালিয়ে আসতে পারে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ পাকিস্তানের আইএসপিআর-এর ডিজি’র বক্তব্যকে “হতাশার স্পষ্ট ইঙ্গিত” বলে ব্যাখ্যা করেছেন। জেনারেল বাজওয়া পরিষ্কার ভাষায় স্বীকার করেছেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করার মতো জোর নেই পাক সেনার।
 সেদেশের দুই সিনিয়র সাংবাদিক (Senior Journalist) হামিদ মির এবং নসীম জেহরা (Hamid Mir and Naseem Zehra)-র কাছে দাবি করেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পাক সেনাবাহিনীর (Pak Army) হাতে পর্যাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ (Arms and Ammunition) নেই।){kind=link}