রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করার অর্থ হচ্ছে সংবিধানের অবমাননা। সংবিধানের উল্লেখিত ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির (President of India) মত উচ্চ পদে থাকা ব্যক্তিত্বের প্রসঙ্গে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে তা আসলে অপরাধের সামিল। যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তার এই মন্তব্য আদিবাসী সমাজকেও আঘাত করেছে। তার এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধুমাত্র এক লাইনে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। মঙ্গলবার দায়ের হওয়া ওই জনস্বার্থ মামলা প্রসঙ্গে এমনই আবেদন জানিয়েছেন সুস্মিতা সাহা দত্ত।
ওই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সপ্তাংশু বসু প্রস্তাব দেন, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির আবেদন জানাচ্ছি।অখিল গিরির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজিও প্রস্তাব দেন, কাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শুরু হোক। ওই সময় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য কি কোনও তদন্ত করছে। কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে? জবাবে সরকারি আইনজীবী অনির্বান রায় জানিয়ে দেন, কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটা ডেপুটেশন জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে অনুসন্ধান চলছে।
মঙ্গলবারই অখিল গিরির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদন করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল। সে আবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীর দাবি ছিল, অখিল গিরিকে (Akhil Giri) অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে হবে। তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিক আদালত।
নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ স্মরণ মঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) ডাকে সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে নিজের বক্তব্য অখিল গিরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণের জবাব দিতে যান। কারণ, অখিল গিরির দাবি দিনকয়েক ধরে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে অপমান করেছেন। কখনও ‘হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রী’, আবার কখনও ‘কাকের মতো দেখতে’ বলে কটাক্ষ করছেন। ওই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুকে তার পালটা জবাব দিতে গিয়ে অখিল গিরি বলেন, “বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী? কী দেখতে ভাল? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?”