Wednesday, July 2, 2025
Homeকলকাতানির্দেশ অমান্য করে প্রাইভেট টিউশন, সরকারের নজরে দমদম-বরানগরের একাধিক স্কুল, দু'শোর বেশি...

নির্দেশ অমান্য করে প্রাইভেট টিউশন, সরকারের নজরে দমদম-বরানগরের একাধিক স্কুল, দু’শোর বেশি শিক্ষক

Follow Us :

কলকাতা: ঠিক মাস দুয়েক আগে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। শিক্ষা দফতরের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা আর গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। যুক্ত থাকতে পারবেন না কোনওরকম কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও। এমনকি বিনা পারিশ্রমিকে কোথাও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতেও পারবেন না। কিন্তু, সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছিল গৃহ শিক্ষকতা। আর তাই এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। ৪৫টি সরকারি-সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলকে নোটিশ পাঠানো হল। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষককে কারণ জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পাশাপাশি শহরের ২০০ জন শিক্ষককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। অবিলম্বে জানাতে হবে কেন সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে তাঁরা প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন। 

অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছু দিন ধরে। মাঝে করোনার সময় কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। স্কুলে না যেতে পারলেও যাতে পড়াশোনার কোনও ক্ষতি না হয় সে কথা মাথায় রেখে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনিতে লাগাম টানতে চাইনি রাজ্য সরকার। আর তার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল । করোনার প্রকোপ কমার পরও প্রাইভেট টিউশনি যথেচ্ছ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন অনেক সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা। সেই নিয়ে শিক্ষা দফতরে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ছিল। এ বিষয়ে প্রাইভেট শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকেও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। তারপরই গত ২৭ জুন স্কুল শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানায় সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের কোনওরকম প্রাইভেট টিউশনি করা যাবে না।

কেটে গিয়েছে দু’মাস। অনেক স্কুল এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা নির্দেশিকা মানলেও তা অগ্রাহ্য করেছেন আরও অনেকে। তারপরই আরও কড়া পদক্ষেপ শিক্ষা দফতরের। মূলত বরানগর-দমদম-বেলঘড়িয়া এই তিন এলাকার বহু স্কুল এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সরকারের নিয়ম মানছে না বলেই অভিযোগ। এছাড়াও রয়েছে জেলার বেশ কিছু স্কুল। যেসব স্কুলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাদের প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে এর কারণ জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই জেলা স্তরের স্কুল ইন্সপেক্টরদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে কোনও জুনিয়র হাই স্কুল, হাই স্কুল অথবা কোনও মাদ্রাসার শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা বা অন্য কোনও ধরনের শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। ‘রাইট অব চিল্ড্রেন টু ফ্রি এন্ড কম্পালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট ২০০৯-এর আওতায় যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা-ও জেলা স্তরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সারা ভারতের স্কুল শিক্ষকতা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাতে এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বিধি-নিষেধের কথাও জানানো আছে।

এই ভাবে সরকারি নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে প্রাইভেট টিউশন করার ফলে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রাথমিকভাবে এই মুহূর্তে তেমন কোন কড়া পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা করছে না রাজ্য। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, প্রথম দিকে সতর্ক করা হবে। কেন নির্দেশিকা মানছেন না, তা জানতে চাওয়া হবে। নিষেধ করা হবে প্রাইভেট টিউশনি করার জন্য। বার বার এভাবে নির্দেশিকা অমান্য করলে তখন শিক্ষা দফতর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular


Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39