প্যারিস: ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের (Bayern Munich) কাছে ১-০ গোলে হেরে গেল প্যারিস সাঁ জারমাঁ (PSG)। ম্যাচে প্রথম থেকে খেলেছিলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এবং নেইমার জুনিয়র (Neymar Jr)। দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় কিলিয়ান এমবাপেকেও (Kylian Mbappe), তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। পিএসজির পক্ষে কাজটা কঠিন হয়ে গেল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UCL) কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের ঘরের মাঠে তাদের হারাতেই হবে।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল নেয় জার্মানির ক্লাব। মেসি-নেইমাররা বল ছুঁতেই পারছিলেন না। আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুসিয়ালা (Jamal Musiala), কোম্যান, চুপো মোটিংরা। প্রথমার্ধে গোলে একটা শটও নিতে পারেনি পিএসজি। বায়ার্ন গোলকিপার ইয়ান সমার আরামে সময় কাটিয়েছেন। বরং প্যারিসের ভাগ্য ভালো যে প্রথমার্ধে কোনও গোল হজম করতে হয়নি।
আরও পড়ুন: BCCI Sting Operation: সৌরভের সঙ্গে ইগোর সমস্যার জেরেই অধিনায়কত্ব খুইয়েছেন বিরাট!
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর ঠেকানো যায়নি। ৫৩ মিনিটের মাথায় আলফান্সো ডেভিসের মাপা ক্রসে পা ছুঁয়ে গোল করেন কিংসলি কোমান (Kingsley Koman)। এরপরে আর দেরি করেননি পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফ গলতিয়েঁ (Christophe Galtier)। নামিয়ে দেন পুরোপুরি চোট না সারা এমবাপেকে। ফরাসি তারকা নামতেই প্রাণ ফেরে পিএসজির। এরপর শুরু হয় আক্রমণ। কিন্তু এই ঝড় দারুণভাবে সামলেছে জার্মান দৈত্যরা। মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও গোলে শট ছিল ৯টি, যার মধ্যে নিশানায় ছিল মাত্র চারটি। বায়ার্ন গোলকিপার ইয়ান সমার (Yan Sommer) সে সব সামলে নেন।
মঙ্গলবার রাতে ছিল মিলান (AC Milan) বনাম টটেনহ্যাম (Tottenham Hotspur) ম্যাচও। ইতালির ক্লাব জিতল ১-০ গোলে। সাত মিনিটের মাথায় গোল করেন ব্রাহিম দিয়াজ। সে গোল আর শোধ করতে পারেনি ইংলিশ ক্লাবটি। অথচ বলের দখল, গোলে শট, পাসিং, কর্নার আদায়, সব বিভাগেই এগিয়ে ছিল তারাই। কিন্তু বল তিন কাঠিতে রাখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল তারা।