পরের লোকসভা ভোটে বাংলায় শাসক তৃণমূলকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। শনিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর পর কড়া হুঁশিয়ারি দলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের অন্যতম সদস্য ব্রিজ লালের। তিনি জানিয়ে দিলেন, জঙ্গলরাজ চলছে এই রাজ্যে, ২০২৪-এ শিক্ষা দেওয়া হবে। কলকাতা মেডিক্যালের পাশাপাশি এই দল নবান্ন অভিযানে আহত মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতেও যায়।
গত মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গার দু’পাড়। হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া ব্রিজে ব্যারিকেড করে পুলিশ নবান্নমুখী বিজেপির মিছিল আটকালে হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আহত হন বিজেপি-কাউন্সিলর-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। এই অশান্তির মাঝেই মহাত্মা গান্ধী রোডে আহত হন কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওইদিন দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হন পুলিশ কর্মীরাও। অভিযানের শুরুতেই আটকানো হয় বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারদের। বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেনের সামনেও উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ (POLICE) লাঠিচার্জ করে। সকাল থেকে শুরু হয়ে কার্যত সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলে। আর সেই অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। পুলিশের শাস্তির দাবি ওঠে বিজেপির তরফে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তি দাবি করা হয়। পাশাপাশি, ঘটনার অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করেন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
পাঁচজনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং ওই টিমে আছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজ লাল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, সাংসদ ও প্রাক্তন আইএএস অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, প্রাক্তন সাংসদ সুনীল জাখর ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওঁরাও। প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এরপর নবান্ন অভিযানে (NABANNA AVIJAN) আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতে যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। সবদিক খতিয়ে দেখতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় যায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। রবিবার জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট দেবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।