ওয়েবডেস্ক- হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad plane crash) একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ (Biswas Kumar Ramesh) দিউতে ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দেন তিনি। বিমান দুর্ঘটনায় পরেই শরীরে অল্প বিস্তর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে (Ahmedabad Civil Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমান বিপর্যয় ঘটে। ক্রু মেম্বার, বিমান চালক-চালিকা ও যাত্রীদের নিয়ে ২৪২ জনের মধ্যে একজন ছাড়া সকলের মৃত্যু হয়েছে।
শুধুমাত্র সকলকে অবাক করে দিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। তবে এই বিমান যাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই। মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। বিমানটি জ্বলতে জ্বলতে বিজে মেডিক্যাল হস্টেলের মাথায় ভেঙে পড়ে। ফলে সেখানকার ইন্টার্ন সহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭০। দেহগুলি সব বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে ডিএনএ টেস্ট করে দেহ পরিবারের হাতে ফেরানো কাজ চলছে।
আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ রাকেশ জোশী সাংবাদিকদের জানান, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার ভোরে বিশ্বাসের ভাই অজয়ের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আদতে বিশ্বাস ব্রিটেনের বাসিন্দা। তার পরিবারের সকলে ভারতে এসে পৌঁছেছেন শেষকৃত্যে যোগ দিতে।
আরও পড়ুন- বানভাসি গুজরাট, গত ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের, ভাসছে বাণিজ্যনগরীও
আমেদাবাদ বিমান বিপর্যয়ের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাসপাতালে গিয়ে বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন, কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বাস কুমার রমেশ জানান, ১২ জুন বিমানট আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক এয়ারপোর্টে যাচ্ছিল। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিপর্যয়। তিনি বিমানে ১১ এ সিটটিতে বসেছিলেন। এই সিটটি বিমানে বাম দিকের জরুরি দরকার কাছে ছিল। কিছুক্ষণের জন্য, আমার মনে হচ্ছিল আমি মারা যাব। কিন্তু যখন আমি চোখ খুললাম, তখন দেখলাম আমি বেঁচে আছি। আমি আমার সিট বেল্ট খুলে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। ভাগ্যক্রমে, বিমান দুর্ঘটনার পর আমি যেখানে বসে ছিলাম সেই বিমানের অংশটি হোস্টেল প্রাঙ্গণের নিচতলায় পড়ে যায়। যখন আমি দেখলাম বিমানের দরজা ভাঙা, তখন আমি নিজেকে বললাম দেখি চেষ্টা করে বের হওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় এক ব্যক্তির তোলা একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর কুমার অ্যাম্বুলেন্সের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ১২ জুন, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য নিয়ে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভবাহী প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। টেক অফের ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় মোট ২৭৯ জন প্রাণ হারান।
দেখুন আরও খবর-