মণিপুর: খেলা তাঁর জীবনকে অন্য পথে নিয়ে গিয়েছে। না হলে তিনি জঙ্গিও হতে পারতেন। কথা বলছিলাম বক্সার সরিতা দেবীর (Sarita Devi)। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, বিপথে যাওয়া থেকে তাঁকে বাঁচিয়েছে ‘খেলা’।
সরিতা দেবী বলেন, ‘আমি ৯০ দশকের কথা বলছি। সেইসময় মণিপুরের একটা ছোট গ্রামে আমি থাকতাম। যখন আমার বয়স ১২-১৩ বছর , তখন প্রতিদিন জঙ্গিদের কার্যকলাপ নিজের চোখে দেখতাম। তাঁদের হাতে বন্দুক দেখে আমিও ভাবতাম একদিন তাঁদের মতো হবো। সেইসময় আমার খেলাধূলা সম্পর্কে কোনও ধারনাই ছিল না। জানা ছিল না খেলাধূলাও আমার জীবনে নাম এবং যশ নিয়ে আসতে পারে। তারপর একদিন আমার ভাইয়ের হস্তক্ষেপে বোধোদয় হয়। বিপথগামী না হয়ে ২০০১ সালে এশিয়ান বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিই এবং রুপোর পদক জিতি। পোডিয়ামে ওঠার পর যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজল তখন সেটা গভীর ভাবে প্রভাবিত করল আমার মনে।’
সম্প্রতি মণিপুরে কম বয়সি অনেক ছেলে-মেয়েরা ড্রাগ নিচ্ছে। যেটা একটা বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে সরিতা দেবী বলেন, ‘ড্রাগের নেশা থেকে প্রত্যেককে দূরে রাখতে হবে। খুদে প্রতিভাদের খেলাধূলায় আসার জন্য আরও উৎসাহিত করতে হবে। কে বলতে পারে হয়তঃ একদিন এই ছেলে-মেয়েরাই ভারতের জন্য পদক নিয়ে আসবে।‘