আদালতের রায়ে বড় ধাক্কা খেলেন তেরো হাজার কোটি টাকার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নীরব মোদি। বুধবার লন্ডন হাইকোর্টের রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর আবেদন খারিজ করা হচ্ছে, ভারতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক ঋণ খেলাপী ও অর্থ তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত ওই হীরে ব্যবসায়ীকে। আপাতত লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে রয়েছেন নীরব।
গত ফেব্রুয়ারিতেই ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জেলা জজ নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যার্পণের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সে আদেশের বিরুদ্ধে লন্ডন হাইকোর্টে আবেদন জানান, মোদি। মূলত তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁর আবেদন গ্রাহ্য করা হোক এমনই আর্জি জানানো হয়েছিল দেশ ছেড়ে পালানো ওই ব্যবসায়ীর তরফে। ভারতের জেলের মান এবং বিচারব্যবস্থার উপর অনাস্থা দেখিয়ে ব্রিটেনের হাই কোর্টে পাল্টা আবেদন জানিয়েছিলেন নীরব। জানিয়েছিলেন, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য ভাল নয়। তাঁর দাবি ছিল, ভারতে ফিরলে তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই যুক্তিতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
আর সেই আবেদন গ্রাহ্য করা হয় মূলত দুটি কারণে। মানবাধিকার রক্ষা সংক্রান্ত ইউরোপিয়ান কনভেনশনের নির্দিষ্ট ধারা আর ব্রিটেনে ২০০৩ সালের প্রত্যার্পণ আইনের ধারার ভিত্তিতে তাঁর আবেদন গ্রহণ করে সে দেশের হাইকোর্ট। সিবিআইযের দায়ের করা মামলায় নীরব মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পিএনবি-সহ ভারতের একাধিক ব্যাঙ্কে জালিয়াতির পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন নীরব মোদি। একইভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর আত্মীয় মেহুল চোকসিও । এরপর ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত।