নয়াদিল্লি: বিলকিস বানো ( Bilkis Bano) মামলায় ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনামা জমা দিতে গুজরাত সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যে শুনানি প্রক্রিয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার সমস্ত ভিডিয়ো রেকর্ডও জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি অজয় রাস্তোগী এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এই নোটিস গুজরাত সরকারকে। এর আগে সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাত সরকারের কাছেও কৈফিয়ত তলব করেছিল, কেন ওই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হল। এদিন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ওই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া আইনসম্মত কি না, তা দেখাই আমাদের কর্তব্য।
আরও পড়ুন: Mohammed Salim: দুর্নীতি মোকাবিলায় নজরে পঞ্চায়েত নাম হেল্পলাইন চালু করল সিপিএম
বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তিদানের সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। গুজরাত সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন প্রবীণ সিপিএম নেত্রী সুভাষিণী আলি এবং আরও কয়েকজন। মামলা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়াও। ২০০২ সালের ৩ মার্চ গুজরাতে গোধরা দাঙ্গার পর দাহোর জেলার রন্ধিকপুর গ্রামে বিলকিসের পরিবার আক্রান্ত হয়। তখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস গণধর্ষণের শিকার হন। পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করা হয় বিলকিসের চোখের সামনে। বাকি পাঁচ সদস্য কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন। হামলাকারী এবং ধর্ষণকারীরা সকলেই ছিল আরএসএস বা বিজেপির সক্রিয় কর্মী। ওই ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে। বিলকিস মামলা করেন। বছরের পর বছর সেই মামলা চলতে থাকে। ১১ জন জেলে বন্দি ছিল। গত মাসে গুজরাত সরকার তাদের মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়ার পর বিজেপি ওই ১১ জনকে বীরের সংবর্ধনা দেয়। মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাদের।