নয়াদিল্লি: পুনরায় তদন্তের নামে অভিযুক্তের (Accused) জামিন আটকে রাখা যাবে না। এমনই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট (Chargesheet) পেশ করতে হবে। তদন্তকারী সংস্থা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে এবং চার্জশিট দাখিল করতে ব্যর্থ হলে জামিন (Bail) পাওয়ার অধিকার আছে অভিযুক্তের। অভিযুক্তের মৌলিক অধিকারকে মান্যতা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বুধবার রায় দিয়েছে ট্রায়াল কোর্টের রিমান্ড বাড়ানো উচিত নয়। এবং অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করা উচিত। অসম্পূর্ণ চার্জশিট দাখিল করা হলে এবং তদন্ত শেষ না হলে অভিযুক্ত জামিন পেতে বাধ্য।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হয়রানি রোধ করার জন্য তদন্তকারি সংস্থার উপর আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ। আদালতের মন্তব্য, কোনও অভিযুক্ত যাতে বিচারব্যবস্থার উপর হতাশাগ্রস্ত হয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অভিযুক্তদের জামিন নাকচ করার জন্য তদন্ত শেষ না করেই অসম্পূর্ণ চার্জশিট গ্রহনযোগ্য নয়।ফৌজদারি আইনের ১৬৭(২) ধারা অনুযায়ী, একজন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে ৯০ দিনের জন্য আটক রাখার অনুমোদন দিতে পারেন। যেখানে অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অন্য ক্ষেত্রে ১০ বছর এবং ৬০ দিনের কম নয়। একটি মামলার তদন্ত শেষ না করে, ফৌজদারি আইনের ১৬৭(২) ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করা আসামীকে জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। আদালতের নির্দেশ ৬০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট পেশ না করলে নিম্ন আদালত তার জামিন মঞ্জুর করতে বাধ্য থাকবে। সিবিআই এর একটি মামলায় এমনটাই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুন: Supreme Court | বাগ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে আদালতবান্ধব নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের
অন্যদিকে, বাগ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট আদালতবান্ধব নিয়োগ করল। গৌরব আগরওয়াল নামে এক আইনজীবীকে আদালতবান্ধব করা হয়েছে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ওই আদালতবান্ধব বাগ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আদালতে সামারি পেশ করবেন। তা সব আইনজীবীকে দেওয়া হবে। শীর্ষ আদালত মনে করে, বাগ কমিটির ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসা উচিত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্যই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রণজিৎ কুমার বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।