নয়াদিল্লি: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)-তে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-কে সিবিআই (CBI) কিংবা ইডি (ED) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, হাইকোর্টের এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই স্থগিতদাশে বহাল থাকবে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিষেক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। সেদিনই অভিষেকের আবেদনের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। সেদিন পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
গত ১৩ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)-র বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ দেন, দরকার হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেককেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গত ১ এপ্রিল হেস্টিংস থানারল কাছে ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। তাতে কুন্তল জানিয়েছেন, অভিষেক-সহ অনেকের নাম বলানোর জন্য ইডি এবং সিবিআই তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনও করা হয়েছে। আরও অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন ইডির অফিসাররা। শুধু তাই নয়, তাঁকে ২১ বছর জেলে রাখার ব্যবস্থা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রে কুন্তল কয়েকজন অফিসারের নামও করেছেন।
আরও পড়ুন: Former Karnataka CM Joins Congress| বিজেপি ছাড়ার পরই কংগ্রেসে যোগ কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
গত ২৯ মার্চ শহীদ মিনার ময়দানের জনসভায় অভিষেক অভিযোগ করেন, সারদা-কাণ্ডে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষ যখন হেফাজতে ছিলেন, তখনও কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা তাঁর নাম বলার জন্য মদন-কুণালদের চাপ দিয়েছেন। তারপরই কুন্তল আদালতে যাতায়াতের সময় একাধিকবার সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের লিখিত অভিযোগ কুন্তল এর আগে আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছেও করেছেন। কুন্তলের এই চিঠির বক্তব্য নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হেস্টিংস থানা এবং বিশেষ আদালতে লেখা চিঠি কলকাতা হাইকোর্টে পেশের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মেনে সেই চিঠি পেশ করা হয়।
বিচারপতি বলেন, ২৯ মার্চ অভিষেকের বক্তব্যের সূত্রেই কুন্তল এই অভিযোগ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। সেই কারণেই অভিষেকের ভাষণও তদন্তের আওতায় আসা উচিত। ওই নির্দেশ দেওয়ার আগের দিন, ১২ এপ্রিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্যই এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা হবে না।