ইদলিব: বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকল সিরিয়া (Syria)। ভূমিকম্পের (Earth Quake) পাঁচদিন পর ভগ্নস্তূপের অন্দরে থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হল পাঁচজন সদস্যের একটা গোটা পরিবার। উদ্ধারকারী দল ওই বাড়িতে উদ্ধার কার্য চালানোর সময় জড়ো হয়েছিল প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। এরপর যখন ওই পরিবারের সদস্যদের স্তূপের নিচে থেকে উদ্ধার করে আনা হল, তখন আচমকাই আনন্দে চিৎকার করে ওঠে অপেক্ষমান জনতা। হাজার হাজার মানুষের গলায় আনন্দের সুর। তাঁরা বলছেন,’ঈশ্বর মহান’। সমস্ত মানুষ তখন যেন একটাই পরিবার। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়া এবং তুরস্কে উদ্ধার কার্য চলমান। বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে। রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। ভেঙে পড়া বহুতলের স্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করতে হচ্ছে দেহ। কেউ জীবিত কেউ আবার মৃত। তবে বেশিরভাগ জনই পরিবারহীন। সেই আবহে এই দৃশ্য সত্যি বিরল।
এই পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও টুইট করেছে সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা ‘দ্য হোয়াইট হেলমেট’। তাতে লেখা রয়েছে,”সত্যিকারের বিস্ময়। উল্লাসের ধ্বনি আকাশকে মুখরিত করছে। বিশ্বাসের উপরে উঠেছে আনন্দ। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে ইদলিবের বিসনিয়া গ্রামে একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। সেখানে আটকে ছিল গোটা পরিবার। তাঁদের সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে।”
A true miracle…the sounds of joy embrace the sky… joy beyond belief.
An entire family was rescued from under the rubble of their house this afternoon, Tuesday, February 7, in the village of Bisnia, west of #Idlib.#Syria #earthquake pic.twitter.com/Cb7kXLiMjT— The White Helmets (@SyriaCivilDef) February 7, 2023
আরও পড়ুনLGBTQ Bangladesh: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে রূপান্তরকামিতা-সমকামিতা, বাংলাদেশ বাতিল পাঠ্য বই
এদিকে, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটু বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চারদিন ধরে আটকে ছিল ছয় বছরের মুসা হামিদি। বিগত শুক্রবার তাঁকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে সিরিয়ার জানদাইরিসের স্বেচ্ছাসেবকরা। এর আগে তার ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল উদ্ধারকারীরা। এখন তার পরিবারের অন্য সদস্যের খোঁজ চলছে।
মুসাকে উদ্ধার করার পর ডাক্তারের তার প্রাথমিক চিকিৎসা করে। ছয় বছরের ছোট্ট মুসা চারদিন ধরে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সমস্ত প্রতূকিলতাকে আশ্চর্যজনক ভাবে উপেক্ষা করে বেঁচে ছিল। বিশেষজ্ঞদের অবশ্য মত, এই ধরণের যে কোনও বড় দুর্যোগের ক্ষেত্রে জরুরি অপারেশনের মাধ্যমে প্রথম তিন দিনের মধ্যে ৯০ শতাংশ জীবিতদের উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, হোয়াইট হেলমেট রেসকিউ গ্রুপের মতে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে 2,030 জনেরও বেশি লোক মারা গেছে এবং 2,950 জন আহত হয়েছে।